এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল নরকঙ্কাল।—ফাইল চিত্র।
সল্টলেকে কঙ্কাল-কাণ্ডে নতুন মোড়।
ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিত যে, সল্টলেকে যাঁর কঙ্কাল মিলেছে তাঁকে পুড়িয়েই মারা হয়েছিল। বুধবার আদালতে এমনটাই দাবি করে বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে, জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাস্থল থেকে কাঠ, কর্পূরও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বিভাসবাবুর দাবি, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৩০ কিলোগ্রাম কাঠ এবং ৪-৫ কিলোগ্রাম কর্পূর কেনা হয়েছিল। সেগুলি পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেই পুলিশের অনুমান।
দ্বিতীয় বার পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে বুধবার সল্টলেকের কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত মা এবং তাঁর ছেলেকে আদালতে তোলে পুলিশ। সরকারি আইনজীবী জানান, ওই ব্যক্তিকে কেন হত্যা করা হল সেটা জানা প্রয়োজন। অভিযুক্তেরা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাই আদালতের কাছে আরও দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান বিভাসবাবু। উল্লেখ্য, ওই কঙ্কাল মহেনসরিয়া দম্পতির ছেলে অর্জুনের কি না, তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করার আবেদন করেছে সরকার পক্ষ।
আরও পড়ুন: আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারি কৌঁসুলির
আরও পড়ুন: জিনিস ওঠানো, নামানো নিয়ে চিন্তায় উড়ান সংস্থা
পরিবারের বড় ছেলে অর্জুন মহেনসরিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা অনিলকুমার। ঘটনার তদন্ত শুরু করে ১০ ডিসেম্বর পুলিশ ওই বাড়ি থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে। এবং গ্রেফতার করা হয় গৃহকর্ত্রী গীতা এবং তাঁর ছোট ছেলে বিদুরকে।
আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবী জাকির হোসেন তাঁর মক্কেলদের জামিনের আবেদন করে জানান, প্রথমে বলা হল অপহরণ এবং খুন। তার পরে বলা হল প্রথমে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া। এখন আবার বলা হচ্ছে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে। দু’পক্ষের সওয়াল শেষে অভিযুক্তদের আরও দু’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।