New Town

বর্জ্য থেকে বায়ো গ্যাস তৈরির প্লান্ট নিউ টাউনে

সংস্থার আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গোটা নিউ টাউনের আবর্জনা আলাদা আলাদা ভাবে সংগ্রহ করে পরে তা এক জায়গায় জড়ো করে তা থেকে গ্যাস তৈরির চিন্তাভাবনা হয়েছিল। কিন্তু পরে পরিকল্পনা করা হয় যে, একটিমাত্র জায়গায় সেই কাজ না করে নিউ টাউনের একাধিক জায়গায় প্লান্ট তৈরি করে ওই কাজ করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বর্জ্য পৃথকীকরণের কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার জৈব বর্জ্য থেকে বায়ো গ্যাস পরীক্ষামূলক ভাবে তৈরির জন্য প্লান্ট প্রস্তুতের কাজ শুরু হল নিউ টাউনে। নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) সূত্রের খবর, ওই প্লান্ট প্রতিদিন ৫ টন জৈব আবর্জনা থেকে বায়ো গ্যাস উৎপাদন করতে সক্ষম। যা থেকে লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি তৈরি করা যাবে। এর ফলে দূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে ওই সংস্থার দাবি।

Advertisement

এনকেডিএ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পাথরঘাটা এলাকায় জৈব এবং অজৈব বর্জ্য পৃথকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এ বার সেই জৈব আবর্জনা সংগ্রহ করে ওই প্লান্টে পাঠানো হবে। নিউ টাউনে দৈনিক গড়ে ৪০-৫০ মেট্রিক টন আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে নিউ টাউনের সর্বত্র বাড়ি থেকে আলাদা ভাবে আবর্জনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু যায়নি। দ্রুত সেই কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে।

সংস্থার আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গোটা নিউ টাউনের আবর্জনা আলাদা আলাদা ভাবে সংগ্রহ করে পরে তা এক জায়গায় জড়ো করে তা থেকে গ্যাস তৈরির চিন্তাভাবনা হয়েছিল। কিন্তু পরে পরিকল্পনা করা হয় যে, একটিমাত্র জায়গায় সেই কাজ না করে নিউ টাউনের একাধিক জায়গায় প্লান্ট তৈরি করে ওই কাজ করা হবে। কী ভাবে সেই কাজ করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে জানতে আধিকারিকদের একটি দলকে হরিয়ানায় পাঠায় এনকেডিএ। কারণ হরিয়ানায় এই পদ্ধতিতে বায়ো গ্যাস তৈরি করা হয়।

Advertisement

সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা জানান, একটি জায়গায় আবর্জনা জড়ো না করে বিভিন্ন জায়গায় ওই প্লান্ট বসিয়ে বায়ো গ্যাস এবং জৈব সার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা জড়ো করার সমস্যাও কমবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement