ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড। —ফাইল চিত্র।
ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের জায়গায় বা অন্যত্র মাল্টি-মডেল পরিবহণ হাব গড়া নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে আগামী কাল, সোমবার একটি বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের কারণে ওই এলাকায় যানজট ও ধোঁয়া-দূষণ কমাতে পার্কিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। বর্তমানে মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শম্পা সরকারেরএজলাসে বিচারাধীন। সেটির পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।
গত ৩ জুলাই ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজটের সমস্যা ও ধোঁয়াজনিত দূষণ কমানোর কাজের রূপরেখা তৈরি করতে রাজ্য সরকারের তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে রাজ্য পরিবহণ দফতর, রাজ্য পরিবহণ নিগম, রাজ্য পূর্ত দফতর, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড ও রাইটস-এর কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে সোমবারের বৈঠকে মামলার আর এক পক্ষ, সেনাবাহিনীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কারণ, প্রথমত, ময়দান সেনাবাহিনীর অধীনস্থ। তা ছাড়া, পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করলে সেখানকার সবুজ এবং ময়দানে প্রতিদিন জড়ো হওয়া সাধারণ নাগরিকের স্বাস্থ্যের উপরে কতটা প্রভাব পড়বে, ইতিমধ্যেই সে ব্যাপারে আদালতকে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে সেনা। তাই সোমবারের বৈঠকে সেনার উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাইয়ের বৈঠকে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড সরানোর জন্য বা বিকল্প পার্কিংয়ের ব্যবস্থার জন্য সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটি ‘রোডম্যাপ’ তৈরি করতে রাইটসকে বলা হয়েছিল। রাইটস সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তা করবে বলে আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কবে সেই রোডম্যাপ জমা দেবে রাইটস, সে ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমার উল্লেখ করেনি তারা। সেই কারণে তা দ্রুত জমা দেওয়ার জন্য রাইটসকে অনুরোধ করা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৪ অগস্ট।