পারিবারিক অশান্তির জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। প্রতীকী ছবি।
পারিবারিক অশান্তির জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বজবজ থানার ওরিয়েন্ট মোড় এলাকায়। মৃতের নাম সুব্রত সামন্ত (৩২) ওরফে শুভ। পেশায় খালাসি সুব্রত থাকতেন বজবজের মায়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসাতলায়। তাঁর সঙ্গে ওরিয়েন্ট এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীর বিয়ে হয়। তাঁদের দেড় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
সুব্রতের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, কন্যাসন্তান জন্মানোর পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন ওই যুবক। মাস ছয়েক আগে স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে দিয়ে চলে যান তিনি। সপ্তাহখানেক আগে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও মেয়েকে নেননি। এ দিন বিকেলে সাইকেল নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন সুব্রত। জানান, মেয়েকে নিয়ে যাবেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির তরফে তাঁকে জানানো হয়, মা না এলে শিশুটিকে ছাড়া হবে না। এর পরেই আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকেন সুব্রত।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘আচমকা পটকা ফাটার মতো আওয়াজ হয়। সুব্রত সাইকেল থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এর পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ সুব্রতকে প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সন্ধ্যায় সেখানেই তিনি মারা যান বলে পুলিশি সূত্রের খবর। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এক কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শটার পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুব্রতের স্ত্রী, শ্বশুরবাড়ির পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে বজবজ থানার টহলদারি ভ্যানের চালক হিসাবে কাজ করতেন সুব্রত। বর্তমানে কাজ করতেন একটি তেলের ট্যাঙ্কারের খালাসি হিসাবে। তাঁর কাছে কী ভাবে ওয়ান শটার পিস্তল এসে পৌঁছল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।