একটি মেয়েকে ভিন্ রাজ্যে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল কড়েয়া থানার পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকা একটি মেয়েকে ভিন্ রাজ্যে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল কড়েয়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ আলতাব। ওই নাবালিকাকে ঠিক কী উদ্দেশ্যে ভিন্ রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে বাড়ি থেকে টিউশন ক্লাসে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিল একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরী। তার পরে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোনও সন্ধান না পেয়ে সপ্তাহখানেক আগে কড়েয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে কিশোরীর পরিবার। সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কড়েয়া থানার পুলিশ।
নিখোঁজ কিশোরীর সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মোবাইলের তথ্যও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখার সূত্রেই দিনকয়েক ধরে এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর বন্ধুত্বের বিষয়ে জানতে পারেন তাঁরা। মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা সেই যুবকের সঙ্গে ইদানীং ওই কিশোরীর ঘনিষ্ঠতা যে বেড়েছিল, তা-ও জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পরে ওই যুবক ও কিশোরীর মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে শুরু হয় খোঁজ। মেয়েটির ফোনের টাওয়ারের অবস্থান থেকে জানা যায়, সে রাজস্থানের একটি জায়গায় রয়েছে। এর পরেই সেই রাজ্যে পৌঁছয় তদন্তকারীদের একটি দল। সোমবার অজমের শহরের একটি দরগার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। তার সঙ্গে কথা বলে অজমের থেকেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে কড়েয়া থানার পুলিশ।
তবে, কী উদ্দেশ্যে ওই নাবালিকাকে রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাকে সেখানকার কোনও যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল কি না, সেটাও জানার চেষ্টা চলছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ওই কিশোরীকে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। এর পরে দু’জনে মিলে ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দেয়। তবে, ওই যুবকের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল, তা পরিষ্কার নয়। তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। যা আদালত মঞ্জুর করেছে। এ বার ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হবে বলে আমাদের ধারণা।’’
পুলিশ জানায়, ধৃত যুবককে বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি, ওই নাবালিকাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।