—প্রতীকী ছবি
স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্বামী। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তিও শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, সেই কারণেই নতুন বছরের প্রথম দিনটি উদ্যাপন করার সময়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্ত্রী। তার পরে দেহটি বস্তায় ভরে গঙ্গার ঘাটে ফেলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। হাওড়ার গোলাবাড়িতে বস্তাবন্দি এক যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
শনিবার সকালে গোলাবাড়ির চাউলপট্টি ঘাট থেকে উদ্ধার হয় বস্তাবন্দি এক যুবকের দেহ। তার পাশে মেলে নম্বর প্লেটহীন একটি মোটরবাইক। সেই সব কিছুর সূত্র ধরেই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঘুসুড়ির বাসিন্দা ওই যুবকের নাম শ্রমণ সিংহ (৪০)। তাঁকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী পিঙ্কিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি পিঙ্কির আগের পক্ষের নাবালিকা মেয়ে এবং সঙ্গী আমন গুপ্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) অনুপম সিংহ বলেন, ‘‘বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। তার জেরেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় শ্রমণকে। তিন জনই ঘটনায় জড়িত রয়েছে।’’ ধৃতদের আজ, সোমবার হাওড়া আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে শ্রমণকে বিয়ে করেন পিঙ্কি। তার পর থেকে কুলিলাইনে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন দু’জনে। শ্রমণের সঙ্গেই হাওড়ায় দৈনিক মজুরের কাজ করত আমন। সেই সূত্রেই এক বছর আগে পিঙ্কির সঙ্গে পরিচয় হয় আমনের। দু’জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কথা জেনে ফেলেছিলেন শ্রমণ। শুরু হয়েছিল অশান্তি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ১ জানুয়ারি শ্রমণের ফ্ল্যাটেই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আসে আমনও। এর পরে পিঙ্কি, তার মেয়ে ও আমন মিলে মত্ত অবস্থায় থাকা শ্রমণের হাত-পা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তার পরে বস্তায় ভরে, আমনের আনা নম্বরপ্লেটহীন বাইকে চাপিয়ে গঙ্গার ঘাটে ফেলে আসে তারা।