প্রতীকী ছবি।
উড়ালপুলের স্তম্ভে ধাক্কা খেয়েছিল একটি মোটরবাইক। চালক ছিটকে প্রায় উড়ে গিয়ে রেলিং টপকে পড়েছিলেন নীচের রাস্তায়। আচমকা ভারী কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা। গুরুতর জখম ও ব্যক্তিকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতের দিকে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সফিয়ার রহমান মল্লিক (৬৪)। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বাগুইআটি উড়ালপুলে।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে কলকাতার দিক থেকে মোটরবাইক চালিয়ে কৈখালির দিকে যাচ্ছিলেন ওই প্রৌঢ়। দমদম পার্ক পেরোনোর পরেই তিনি উড়ালপুলে উঠে পড়েন। উড়ালপুলের ছ’নম্বর স্তম্ভে ধাক্কা মারেন তিনি। বাইকটি সেখানে রয়ে গেলেও ওই প্রৌঢ় ছিটকে নীচে গিয়ে পড়েন। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বাইকটির গতি সম্ভবত অত্যন্ত বেশি ছিল। সেই কারণেই ধাক্কা মারার পরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে বাইক ছিটকে পড়েন সফিয়ার।
গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই প্রৌঢ়ের মাথায় ও বুকে গুরুতর আঘাত লেগেছিল।
প্রৌঢ় নিজের বাইক থেকে ওই ভাবে ছিটকে নীচে পড়ায় স্তম্ভিত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের সন্দেহ, পিছন থেকে কোনও গাড়ি ওই বাইকে ধাক্কা মেরে থাকতে পারে। কিন্তু ঘটনাস্থলে সেই রকম ধাক্কা মারার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
তবে বাগুইআটি উড়ালপুল থেকে এ ভাবে নীচে পড়ার ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। স্থানীয় গাড়িচালকদের একাংশের বক্তব্য, উড়ালপুলে ওঠার পরে অনেকেই মোটরবাইকের গতি বাড়িয়ে দেন। ফলে সেই গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু ধাক্কা মেরে উড়ালপুল থেকে নীচে ভিআইপি রোডে পড়ার ঘটনা আগে ঘটেনি।
পার্ক সার্কাসের কাছে মা উড়ালপুল থেকে নীচে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। সে ক্ষেত্রেও মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে উড়ালপুলের দেওয়ালে ধাক্কা মেরে নীচে পড়ে গিয়েছিলেন আরোহী।