প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তোলা চেয়ে না পাওয়ায় কাজে বাধা এবং পরে এক প্রবাসী বাঙালিকে মারধরের অভিযোগ উঠল এলাকার এক প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। খাস কলকাতায় প্রোমোটারের ‘দাদাগিরি’র কারণে আক্রান্ত হলেন যুবক। এই মারধরের ঘটনায় প্রোমোটারের ভাইও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্কের কাকুলিয়া রোড এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় একটি পুরনো বাড়ির সংস্কারের কাজ চলছে। সেই কাজকে কেন্দ্র করেই ঝামেলার সূত্রপাত। বাড়ির ছেলে জিষ্ণু নাথ চাকরি সূত্রে আমেরিকায় থাকেন। তিনি পেশায় এক জন সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে পাড়ি দেন আমেরিকায়। বর্তমানে জিষ্ণু থাকেন সিয়াটেলে। গত ১৭ জানুয়ারি নিজের কলকাতার বাড়িতে ফেরেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল, তাঁদের দীর্ঘ দিনের পুরনো বাড়ির সংস্কারের কাজ করা।
বাড়ি সংস্কারের কাজ আগেই শুরু হয়েছিল। সেই কাজ তদারকি করতেই এ বার কলকাতায় ফেরা জিষ্ণুর। এই সংস্কারের কাজের বরাত পাওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই জিষ্ণুর সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছিলেন খোকন সরকার নামে এলাকার এক প্রোমোটার। কিন্তু জিষ্ণু পাত্তা দেননি খোকনের কথায়। অন্য এক ঠিকাদারকে সংস্কারের কাজের বরাত দেন।
আর তাতেই রেগে যান খোকন। গত সোমবার সকালবেলায় জিষ্ণু যখন কাজে বার হচ্ছিলেন, তখন হঠাৎই তাঁর পথ আটকে দেন খোকনের এক ভাই। এলাকায় তিনি ‘ভাইলো’ নামে পরিচিত। অভিযোগ, তিনিই জিষ্ণুকে মারধর করেন। মুখ ফাটিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। জিষ্ণুর আরও অভিযোগ, বাড়ির কাজ বন্ধ করে দেওয়ারও চেষ্টা করেন খোকনরা। এমনকি টাকাও চাওয়া হয়। সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রবীন্দ্র সরোবর থানায় জিষ্ণু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।