ফের আগুনের গ্রাসে নন্দরাম মার্কেট। নিজস্ব চিত্র
১১ বছর আগের দুঃস্বপ্ন ফিরে এল। শনিবার দুপুরে ফের আগুন লাগল নন্দরাম মার্কেটে। দমকল সূত্রে খবর, ওই মার্কেটের ন’তলায় একটি কাপড়ের গুদামে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৫টা ইঞ্জিন। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দুপুরবেলা হঠাৎই দেখা যায়, নন্দরাম মার্কেটের ওই তলা থেকে আগুনের লেলিহান শিখা। বেরোতে থাকে কালো ধোঁয়া। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। দমকলের ইঞ্জিনের পাশাপাশি আসে স্কাই ল্যাডারও। তবে, যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে স্কাই ল্যাডার নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই বলেই দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও দমকলের ডিজি জগমোহন। মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ। আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান দমকল মন্ত্রী। নন্দরাম মার্কেটে দ্বিতীয়বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দমকলমন্ত্রী। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘দমকল, পুরসভা, পুলিশ ও মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনকে নিয়ে বৈঠকে বসবে রাজ্য। নন্দরাম মার্কেটের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। প্রথম বার অগ্নিকাণ্ডের পর যে সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা কতটা মানা হয়েছিল তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। অগ্নিকাণ্ডে কারও গাফিলতি ধরা পড়লে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
নন্দরাম মার্কেটের ব্যবসায়ী অরুণ আর্যর অভিযোগ, ‘‘আগুন আয়ত্তে আনতে ঠিকমতো কাজ করেনি দমকল। পাইপ ফাটা। তাই উঁচুতে জল নিয়ে যেতে পারেনি দমকল।’’ প্রাথমিক ভাবে দমকলকর্মীদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। গুদামে দাহ্য পদার্থ থাকায় ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
Fire at Nandaram market,Brabourne road. Total 11 fire tenders at spot. More details awaited. #Kolkata pic.twitter.com/9jKLp7iBIp
এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে, বড়বাজার-সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। হাওড়া থেকে ধর্মতলার দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যান নিয়ন্ত্রণ করা হয় ব্রেবোর্ন রোডের দিক থেকে টি বোর্ডের দিকে আসার রাস্তায়। হাওড়াগামী যানবাহন এমজি রোডের বদলে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : জল বাঁচানোর বার্তা নিয়ে পথে মুখ্যমন্ত্রী