জীর্ণ: এমনই অবস্থা রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের পালিত ভবনের। সেখানেই একটি ঘরে ভেঙে পড়ে ছাদের চাঙড়। নিজস্ব চিত্র
কয়েক মিনিটের জন্য নিজের দফতর থেকে বেরিয়েছিলেন এক শিক্ষিকা। তারই মধ্যে ছাদ থেকে ভেঙে পড়ল বড় চাঙড়। প্রথমে সেটি পড়ে চেয়ারের উপরে থাকা একটি টেবিল ফ্যানের উপরে। তার পরে ফ্যান সুদ্ধ মেঝেতে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের পালিত ভবনের ওই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা পারঙ্গমা সেন।
সূত্রের খবর, ওই দিন পালিত ভবনের দোতলায় নিজের দফতরে কাজ করছিলেন পারঙ্গমা। কয়েক মিনিটের জন্য বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন ওই কাণ্ড। পারঙ্গমাকে শুক্রবার এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যা জানানোর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আর কোনও মন্তব্য করব না।’’
শুধুই পালিত ভবনের দোতলা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে ওই ভবনেরই চারতলায় পড়ুয়াদের শৌচাগারের ছাদের চাঙড় খসে পড়েছিল। সম্প্রতি তেতলায় একটি কল খোলা থাকায় জল পড়ে যাচ্ছিল। সেই জল চুঁইয়ে দোতলার মেঝেতে পড়ে। মেঝে চুঁইয়ে জল পড়তে শুরু করে একতলায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, ছাতা নিয়ে সে সময়ে একতলায় চলাফেরা করতে হয়েছিল।
১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত। এক আধিকারিক জানালেন, ১৯১৪ সালে রাজাবাজার ক্যাম্পাসে পঠনপাঠন চালু হয়। পালিত ভবন হেরিটেজ ভবন। সেই সময়েই তৈরি। কিছু বছর পরে তৈরি হয় চতুর্থ তল। এত পুরনো ভবনের রক্ষণাবেক্ষণে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছে শিক্ষামহল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস সান্যাল এ দিন জানান, বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে। পালিত ভবনের মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু করার সিদ্ধান্তও নেওয়া
হয়েছে। পূর্ত দফতরের কর্মীরা ইতিমধ্যেই ওই ভবনটি ঘুরে দেখেছেন। শুভাশিসবাবু বলেন, ‘‘অনেক পুরনো বাড়ি। কখন, কোথায় চাঙড় খসছে সব সময়ে খেয়াল রাখা যাচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়ি মেরামতির কাজ শুরু হবে।’’