Complaint Against Home Tutor

ছাত্রকে মারধরে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকা

অভিযোগ, ইংরেজি গ্রামারে ভুল করায় ৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্রটিকে ৫০-৬০টি চড় মারা হয়। এমন ভাবে থুতনি চেপে ধরা হয় যাতে গলা কেটে রক্ত বেরিয়ে আসে। অভিযোগ, শিক্ষিকার ছেলেও মোবাইলের চার্জার দিয়ে মারধর করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ইংরেজি গ্রামারে ভুল করায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বর্ষীয়ান এক গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। গড়িয়ার বাসিন্দা, প্রায় ৭০ বছরের শিক্ষিকা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ৪ ফেব্রুয়ারি শহরতলির একটি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বেহালার বাসিন্দা ওই ছাত্রের মা। জানানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায় টামটাকেও। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটি এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের একটি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষিকা।

Advertisement

অভিযোগ, ইংরেজি গ্রামারে ভুল করায় ৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্রটিকে ৫০-৬০টি চড় মারা হয়। এমন ভাবে থুতনি চেপে ধরা হয় যাতে গলা কেটে রক্ত বেরিয়ে আসে। অভিযোগ, শিক্ষিকার ছেলেও মোবাইলের চার্জার দিয়ে মারধর করেন। তাঁর কাছে কম্পিউটার শেখে ১১ বছরের ছাত্রটি। পুলিশ ও জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে তার মায়ের দাবি, ২৮ জানুয়ারি ওই শিক্ষিকার কাছে পরীক্ষায় কম নম্বর পায় ছাত্রটি। ৩ ফেব্রুয়ারি পড়তে গেলে তাকে মারধর করা হয়। ছাত্রের গালে ও কানের পাশে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় তাকে সুভাষগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। যদিও শিক্ষিকার কথায়, ‘‘২২ বছরের গৃহশিক্ষকতার জীবনে এমন অভিযোগ কেউ করেননি। ইংরেজিতে ভুল করায় বকুনি দিয়েছিলাম, মারধর করিনি। ৫০-৬০টি চড় মারার মতো শারীরিক সক্ষমতা আমার নেই।’’ তাঁর ছেলে জানান, আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মামলা রুজু করা হয়েছে। নোটিস পেয়ে থানায় এসে শিক্ষিকা ও তাঁর ছেলে বয়ান রেকর্ড করেছেন। ছেলেটির ডাক্তারি পরীক্ষার কাগজ দেখে আইন মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ হবে।’’ আর অনিন্দিতা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement