—প্রতীকী চিত্র।
চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়না তদন্তের রিপোর্ট সম্পর্কে তাঁর পরিবার-পরিজনদের ক্ষোভ প্রকাশ নিয়ে এ বার মুখ খুললেন চিকিৎসকদেরই একাংশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, জীবিত অবস্থায় ফাঁস লেগে মৃত্যু মানেই যে সেটি আত্মহত্যা হবে, তার কোনও অর্থ নেই। মারধরের পরে ফাঁস দিয়ে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, সেটাপুলিশি তদন্তে স্পষ্ট হবে বলেও ময়না তদন্তের রিপোর্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার পরিবর্তে খুনের মামলা রুজু হবে। সেই তথ্যপ্রমাণ বার বার খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলের উপরে জোর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সমস্ত তথ্যপ্রমাণের উপরে ভিত্তি করে তদন্ত এগোচ্ছে। সুইসাইড নোট থেকে শুরু করে মৃতার সঙ্গে যাঁদের শেষ কথোপকথন হয়েছে, সকলের সঙ্গে কথা বলে আমরা সত্য উদ্ঘাটনের পথে এগোচ্ছি।’’ ইতিমধ্যেই প্রজ্ঞাদীপার বন্ধুঅদিতি বসু রায়-সহ বেশ কয়েক জন ঘনিষ্ঠকে ব্যারাকপুর থানায় কথা বলার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটসূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে যাঁরা প্রজ্ঞাদীপাকে ফোন করেছিলেন বা যাঁদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত কথা হত, তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে ফের ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে তদন্ত করা হবে। প্রজ্ঞাদীপার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা এই মামলা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলছেন।