প্রতীকী ছবি।
তিনি বিদেশিনি। এ দেশ তাঁর জন্য নয়। এমনকি দ্রুত দেশ না ছাড়লে তাঁকে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছিল এক ব্যক্তি। এমন অভিযোগ জানিয়ে ১০০ নম্বরে ডায়াল করে সাহায্য চান ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী। পাশাপাশি পরিচিত এক সাব ইনস্পেক্টরকেও বিষয়টি জানান তাঁরা। এর পরেই বৌবাজার থানার এক সাব ইনস্পেক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সকালে এক ‘হেরিটেজ ওয়াক’-এর আগে এমনই অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন মার্কিন তরুণী। কর্মসূত্রে এবং বিবাহসূত্রে গত সাত বছর ধরে তিনি কলকাতার বাসিন্দা। পরে ওই তরুণী এবং তাঁর স্বামী বলেন, ‘‘প্রথমে বিষয়টি পাত্তা দিইনি। কিন্তু চারদিকে যা হচ্ছে, তাই ভয় পেয়ে ১০০ নম্বরে ডায়াল করি। পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যায়।’’ পুরো ‘ওয়াক’ চলাকালীন পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিয়েছে বলেও জানালেন দম্পতি।
হেঁটে কলকাতার ঐতিহ্য চেনানোর এক সংস্থার কর্ণধার যুবক এ দিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানান, সকাল আটটায় হাঁটা শুরুর কথা ছিল। সেই মতো তিনি স্ত্রীকে নিয়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপরে টেলিফোন ভবনের কাছে বাকিদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাঁদের গন্তব্য ছিল চায়না টাউন। হঠাৎ ওই যুবক লক্ষ্য করেন, এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কিছু কথা বলছে। প্রথমে ওই ব্যক্তিকে তাঁরা পাত্তা দেননি বলেই দাবি করেছেন যুবক। পরে লক্ষ্য করেন, ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর কাছে গিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করছে। তাঁকে ‘বিদেশিনি’ সম্বোধন করে ওই ব্যক্তি বলে, এ দেশ বিদেশিদের জন্য নয়। তিনি দ্রুত দেশ না ছাড়লে অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণেরও হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। এর পরেই আতঙ্কিত দম্পতি ১০০ নম্বরে ডায়াল করে কলকাতা পুলিশের সাহায্য চান। পাশাপাশি পরিচিত এক সাব ইনস্পেক্টরকেও ফোন করেন তাঁরা।
ওই যুবক জানান, ফোন করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হন বৌবাজার থানার এক সাব ইনস্পেক্টর। তিনি অভিযুক্তকে খুঁজে বার করেন। পুরো বিষয়টি শুনে এ দিনের ‘ওয়াক’–এ পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেন। ফোনে ওই যুবক জানান, সাত বছর ধরে তাঁর স্ত্রী কলকাতায় আছেন। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতিতে কখনও পড়েননি। ওই যুবকের ফেসবুক পোস্ট থেকে বিষয়টি জেনে এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শহরবাসীর একটি অংশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ফোন পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে ওই তরুণীকে। তবে দম্পতি কোনও লিখিত অভিযোগ না করায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।