State news

নিউটাউনে ১৩ তলা থেকে ঝাঁপ চিকিৎসকের, উত্তর খুঁজছে পুলিশ

আত্মঘাতী হওয়ার আগে তিনি স্ত্রীকে বাড়ির বাইরে বার করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিতরে ভাঙচুর চালান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১০:৫৯
Share:

ঝাঁপ দেওয়ার আগে এ ভাবেই ঘরে ভাঙচুর চালান এই চিকিৎসক। —নিজস্ব চিত্র।

ফ্ল্যাটের বাইরে অপেক্ষা করছে পুলিশ এবং দমকলের কর্মীরা। দরজা বন্ধ। ভেতরে থাকা যুবক চিকিৎসককে উদ্ধার করার চেষ্টায় সবাই। তারই মধ্যে ১৩ তলার ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ দিলেন ওই চিকিৎসক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চার দিক ঘেরা, এমনকি ফ্ল্যাটের ব্যালকনিও গ্রিল দিয়ে ঘেরা। তার পরেও কী ভাবে ঝাঁপ? অবাক হয়ে গিয়েছিলেন বাইরে থাকা সবাই।

Advertisement

পরে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, শোওয়ার ঘরে থাকা উইন্ডো এসি খুলে সেই ফোকর গলে লাফ দেন তিনি। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের একটি অভিজাত আবাসনে। ১৩ তলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা চিকিৎসক দম্পতি ধর্মেন্দ্র কুমার চৌধুরী (২৮) এবং তাঁর স্ত্রী ভূমিকা।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁরা নিউটাউনের একটি শপিং মলে কেনাকাটার জন্য যান। ফেরার পথে একটি মদের বোতল কেনেন ধর্মেন্দ্র। বাড়ি ফিরে মদ্যপান শুরু করেন ধর্মেন্দ্র। সেই সময়ে কয়েক জন পরিচিত ব্যাক্তির সঙ্গে ফোনে কথাও বলছিলেন তিনি। কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ওই চিকিৎসক। ভূমিকা পুলিশকে জানিয়েছেন, খানিক পরেই তিনি লক্ষ্য করেন যে ধর্মেন্দ্র জল না মিশিয়ে প্রচুর পরিমাণে মদ খাচ্ছেন। সেটা দেখেই তিনি বারণ করেন ধর্মেন্দ্রকে। তার পরেই ওই দম্পতির মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে ভূমিকাকে ফ্ল্যাট থেকে বাইরে বার করে দেন ধর্মেন্দ্র। তার পরে বাইরে থেকে ভূমিকা বুঝতে পারেন ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র তছনছ করছেন তাঁর স্বামী। ভয় পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পারদ উঠল অনকেটাই, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা

এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘যে ভাবে উন্মত্তের মতো গোটা ফ্ল্যাট ভাঙচুর করা হয়েছে, তাতে আমাদের অনুমান ওই চিকিৎসক মানসিক ভাবে সুস্থির ছিলেন না। তিনি কোনও মানসিক রোগে ভুগছিলেন কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।” পুলিশের আশঙ্কা মানসিক সমস্যা থেকেই তিনি প্রচুর মদ্যপান শুরু করেন এবং মদের ঘোরে বেপরোয়া হয়ে যান। কোনও জায়গা খোলা না পেয়ে মরিয়া হয়ে শেষে এসি খুলে সেই ফোকর দিয়ে নীচে ঝাঁপ মারেন। অন্য এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘ভূমিকা এখনও কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তিনি সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকে জানতে হবে কোনও পারিবারিক সমস্যা বা অন্য কোনও সমস্যা ছিল কি না।”

আরও পড়ুন: দেশের ভিত্তি এটা নয়, বলছেন ক্ষুব্ধ দীপিকা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement