—প্রতীকী চিত্র।
বিধাননগর কমিশনারেটের জগৎপুর এলাকায় একটি বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল প্রায় কঙ্কালে পরিণত হওয়া একটি দেহ। সেটি শৌচাগারে একটি ড্রামের ভিতরে রাখা ছিল। ড্রামটির মুখ সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা ছিল। সিমেন্টের আস্তরণ ভেঙে বাগুইআটি থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
বিধাননগর কমিশনারেট জানিয়েছে, প্রায় কঙ্কালে পরিণত হওয়া দেহটি কার, তা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যে ঘর থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেটি ভাড়ার ঘর। বাড়ির মালিক শুধু জানিয়েছেন, ওই ঘরটিতে বছর তিনেক আগে নেপালের বাসিন্দা এক পরিবার থাকত। কিন্তু তিন বছর আগে তাঁরা ঘরে তালা দিয়ে চলে যান। তার পরে মাঝেমধ্যে ভাড়ার টাকা পাঠাতেন। গত ছ’মাস সেই টাকাও আসছিল না। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে, দু’দিন আগে মালিক ঘরের তালা ভাঙান। মঙ্গলবার ঘর পরিষ্কার করানোর সময়ে শৌচাগারে ড্রামটি থেকে দুর্গন্ধ পান তিনি। ড্রামটির মুখ খোলার পরে নজরে আসে দেহটি। এর পরেই মালিক স্থানীয় জগৎপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন।
পুলিশ জানায়, বাড়ির মালিক তাদের জানিয়েছেন, ওই দম্পতির নাম তিনি মনে করতে পারছেন না। তবে তাঁদের পদবি ‘থাপা’। পুলিশ জানায়, দেহটি পুরুষের না মহিলার, তা ময়না তদন্তের পরেই বোঝা যাবে। সেই অনুযায়ী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ভাড়ার চুক্তিপত্রও মালিকের কাছে চেয়েছে পুলিশ।