Vehicle Location Tracking Device

অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র না থাকলে শংসাপত্র নয় বাণিজ্যিক গাড়িকে

পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, আগের তুলনায় ভিএলটিডি যন্ত্রের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে এই যন্ত্রের দাম ছিল ১২ হাজার টাকার কাছাকাছি, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে চার-পাঁচ হাজার টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ০৭:৩৯
Share:

জুন থেকে যাত্রিবাহী বাণিজ্যিক গাড়িতে অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র বসানো বাধ্যতামূলক হচ্ছে। প্রতীকী চিত্র।

যাত্রিবাহী বাণিজ্যিক গাড়িতে অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র (ভেহিক্‌ল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বা ভিএলটিডি) বসানোর সময়সীমায় যে ছাড় দিয়েছিল পরিবহণ দফতর, সেই ছাড়ের মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে চলতি মাসেই। ফলে, জুন থেকে এই ধরনের সমস্ত গাড়িতে ওই যন্ত্র বসানো বাধ্যতামূলক হচ্ছে। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, আগামী মাস থেকে যে সব গাড়ির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র (সিএফ) নেওয়ার সময় আসবে, তাদের ক্ষেত্রে ওই যন্ত্র বসিয়ে তার পরেই নির্দিষ্ট পরীক্ষায় বসতে হবে।

Advertisement

এর আগে এই যন্ত্রের চড়া দাম নিয়ে সরব হয়েছিল বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়ির সংগঠন। সেই সময়ে পরিবহণ দফতর জানিয়েছিল, ৩১ মার্চের মধ্যে যাত্রিবাহী বাণিজ্যিক গাড়িতে এই যন্ত্র বসাতে হবে। কিন্তু নানা মহল থেকে আপত্তি ওঠায় তারা বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করে মে মাস পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার কথা জানায়। বলা হয়, ওই সময়ের মধ্যে যে সব গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট বা স্বাস্থ্য শংসাপত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে জুন মাসের আগে যন্ত্র বসিয়ে নেওয়ার শর্তে মুচলেকা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার পরে ওই সব গাড়ির ক্ষেত্রে দিনপ্রতি ৫০ টাকা করে জরিমানা ধার্য হবে।

পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, আগের তুলনায় ভিএলটিডি যন্ত্রের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে যেখানে এই যন্ত্রের দাম ছিল ১২ হাজার টাকার কাছাকাছি, সেখানে এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে চার-পাঁচ হাজার টাকা। পাশাপাশি, আগের তুলনায় অনেক বেশি সংস্থা এখন ওই যন্ত্র তৈরি করছে। ফলে, বিভিন্ন বাণিজ্যিক গাড়িতে অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র বসানোর ক্ষেত্রে সাড়াও মিলছে বেশি।

Advertisement

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসের ক্ষেত্রে আকার অনুযায়ী ছ’টি থেকে আটটি প্যানিক বাটন বসাতে হচ্ছে। ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাবের ক্ষেত্রে থাকছে তিনটি করে প্যানিক বাটন। আবার, স্কুলগাড়ির মাপ এবং আকার অনুযায়ী তিন থেকে ছ’টি পর্যন্ত প্যানিক বাটন লাগছে বলে খবর। এ নিয়ে ‘জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স’-এর তরফে টিটু সাহা এবং ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগের তুলনায় যন্ত্রের দাম অনেক কমে আসায় আমরা খুশি। পরিবহণ দফতর বিষয়টি নিয়ে অহেতুক তাড়াহুড়োও করেনি।’’ এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার গাড়িতে ওই যন্ত্র বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দু’লক্ষ গাড়িতে ওই যন্ত্র বসাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement