প্রতীকী ছবি।
রাস্তায় নেমে কুকুরছানাদের পরিচর্যা করতে গিয়ে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এক কলেজশিক্ষিকা। মহিলার অভিযোগ, তাঁর গা থেকে শাল টেনে নেওয়া হয়। মুচড়ে দেওয়া হয় হাত। সেই সঙ্গে তাঁর স্বামী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণী নিউ টাউনের বাসিন্দা।
রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পাইকপাড়া অঞ্চলের মল্লিকবাজারের উমাকান্ত সেন লেনে। মহিলা চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেই বিশ্বপ্রিয় রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই মহিলাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বলেও অভিযোগ। বিশ্বপ্রিয় মহিলার দিকে তেড়ে যেতেই তিনি ভিডিয়ো করার চেষ্টা করেন। ভিডিয়ো তোলা বন্ধ করতে ওই ব্যক্তি শিক্ষিকার গায়ে হাত তোলেন বলেও অভিযোগ।
আক্রান্ত মহিলা দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজে পড়ান। পথপশুদের পরিচর্যার কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। রবিবার বিকেলে উমাকান্ত সেন লেনের বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কয়েকটি কুকুরছানার পরিচর্যা করতে সেখানে যান তিনি। মহিলা জানান, কুকুরছানাগুলি অভুক্ত রয়েছে বলে খবর পেয়েই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। আগে ওই পাড়াতেই তিনি থাকতেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সঙ্গে দু’টি গাড়ি ছিল। আমি ওই জায়গায় পৌঁছতেই বেশ কয়েক জন আমাকে ঘিরে ধরেন। কুকুরছানাদের খাওয়ানো যাবে না বলে দাবি করে তাঁরা আমার সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। দু’-একটি কথা হতে না হতেই আমার স্বামী ও ছেলেকে ধাক্কা মারা শুরু হয়। সেই সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই শিক্ষিকা জানিয়ে দেন, তিনি কুকুরদের খাওয়াবেনই। তাতে দু’তরফের বচসা আরও বাড়ে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিশ্বপ্রিয় একটি বাড়ির দোতলা থেকে নেমে আসেন। তিনি স্থানীয় এক নেতার নাম করে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। মহিলার দাবি, ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন, তাঁদের এলাকায় ‘কুকুর কীর্তন’ চলবে না। কিন্তু মহিলা নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে তর্ক জুড়ে দেন। এরই মধ্যে বিশ্বপ্রিয় মহিলাকে আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। তাঁর গা থেকে শাল খুলে দেওয়া হয় এবং তাঁর হাত মুচড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটির ভিডিয়ো করে রেখেছিলেন মহিলা। সেই ভিডিয়ো তিনি রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশকে দেখানোর পরে অভিযুক্তকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।