Haridevpur Incident

রাতের কলকাতায় পুলিশ সেজে অপহরণ! হরিদেবপুরের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল ব্যবসায়ীকে

অপহৃতের নাম নিতিন শাহ। ২২ বছরের এই যুবক পেশায় ব্যবসায়ী। শুক্রবার দুই সঙ্গীর সঙ্গে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন হরিদেবপুরের কবরডাঙা ক্রসিংয়ের কাছে। সেখান থেকেই তাঁকে বলপূর্বক গাড়িতে তোলা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৪৮
Share:

সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অপহরণের দৃশ্য। শুক্রবার রাতে হরিদেবপুরে। — নিজস্ব চিত্র।

কলকাতার রাস্তা থেকে রাত সাড়ে ১০টার সময় এক যুবককে অপহরণ করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাত হরিদেবপুরের একটি পানশালার সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দুক দেখিয়ে গায়ের জোরে ওই যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গাড়িতে। সাদা রঙের সেই স্কর্পিও গাড়িতে পুলিশ লেখা বোর্ডও লাগানো ছিল!

Advertisement

অপহৃতের নাম নিতিন শাহ। ২২ বছরের এই যুবক কলকাতার আজাদগড়ের বাসিন্দা।পেশায় ব্যবসায়ী। শুক্রবার দুই সঙ্গীর সঙ্গে হরিদেবপুরের কবরডাঙা ক্রসিংয়ের কাছে হার্ডরক বারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন নিতিন। সেখান থেকেই তাঁকে বলপূর্বক গাড়িতে তোলে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে তারা ঘটনাটির খবর পায়। তার পরেই হরিদেবপুর থানার ওসির নেতৃত্বে তিনটি পুলিশের দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাড়িটিকে পাকড়াও করে। উদ্ধার করে অপহৃত যুবককেও।

পুলিশ সূত্রে খবর, সাদা রঙের একটি স্কর্পিও গাড়িতে এসেছিল দুষ্কৃতীদের ওই দলটি। তাদের গাড়ির সামনে পুলিশ লেখা বোর্ডও আটকানো ছিল। ভিতরে ছিল চালক-সহ পাঁচ জন। পুলিশ গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতারও করেছে তিন ‘অপহরণকারী’কে।

Advertisement

হরিদেবপুরের কবরডাঙা ক্রসিংয়ে হার্ডরক বারের সামনের এই ঘটনাটি গোটাটাই রেকর্ড হয় সিসি ক্যামেরায়। তাতে দেখা গিয়েছে, নিতিনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন তাঁর বন্ধুরা। কিন্তু সম্ভবত বন্দুকের ভয় দেখিয়েই তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিতিনের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকাও চেয়েছিল দুষ্কৃতীরা।

পুলিশ এই ঘটনার খবর পেয়েই হরিদেবপুরের থানা এলাকায় তিনটি আলাদা আলাদা দল তৈরি করে। তারাই তল্লাশি চালিয়ে পাকড়াও করে গাড়িটিকে। ধৃত দুষ্কৃতীদের নাম বিপ্লব পাত্র ওরফে ভিক্টর (৩৩), অশোক মাজি (৪৬) এবং অরুণাংশু দাস (৪২)। এঁদের মধ্যে দু’জন এমজি রোডের বাসিন্দা। বিপ্লব থাকেন ঘরুইপাড়ায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement