দুর্ঘটনায় উল্টে যাওয়া পুলকার। —নিজস্ব চিত্র।
ঘটনাস্থল সেই বেহালা। এ বার ঠাকুরপুকুরে উল্টে গেল একটি পুলকার। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে দু’জন স্কুলপড়ুয়া। ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। অভিভাবকেরা এসে দুই পড়ুয়াকে বাড়ি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার জন স্কুলপড়ুয়াকে নিয়ে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল একটি পুলকার। জোকার দিক থেকে তারাতলার দিকে যাওয়ার সময় ঠাকুরপুকুর দাসপাড়া এলাকায় জেমস লং সরণির কাছে গাড়িটির চাকা ডিভাইডারে উঠে যায়। তার পরই গাড়িটি পাল্টি খেয়ে যায়। দুর্ঘটনার জেরে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। চার জন পড়ুয়ার মধ্যে দু’জনের আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের পরিবারের লোককে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে আহত ছাত্রদের বাড়ির লোক এসে তাদেরকে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। দুই পড়ুয়ার আঘাত তেমন গুরুতর নয়। পরে ক্রেন নিয়ে এসে উল্টে যাওয়া গাড়িটিকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
এই ঘটনা অনেককেই গত ৪ অগস্টের দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই দিন সকালে বেহালা চৌরাস্তা এলাকায় বড়িশা হাই স্কুলের সামনে ওই স্কুলেরই প্রাথমিক বিভাগের ছাত্র ৭ বছরের সৌরনীল সরকারকে পিষে দেয় পণ্যবাহী ট্রাক। গুরুতর জখম হন ওই খুদে স্কুলপড়ুয়াকে হাত ধরে রাস্তা পার করানো তার বাবাও। এর পর জনরোষ চরমে ওঠে। গণবিক্ষোভে আক্রান্ত হয় পুলিশ। চৌরাস্তা ট্র্যাফিক গার্ডের দফতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুর্ঘটনার সময়ের বাস্তব চিত্রও খতিয়ে দেখে পুলিশ। কী ভাবে শিশুটি ট্রাকের তলায় চলে গিয়েছিল, তা-ও দেখেন কলকাতা পুলিশের বড়কর্তারা। নতুন করে দুর্ঘটনা এড়াতে একাধিক নির্দেশিকাও জারি করে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ।