খিদিরপুর থেকে প্রিন্সেপ ঘাটের দিকে দুরন্ত গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন দিলীপকুমার বিশ্বাস। স্পিডোমিটারের কাটা তখন ৮০ ছুঁই ছুঁই। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বয়স ৭৬। বাইকের পিছনে বসে নাতি। কম বয়সী দুই বাইক আরোহী যুবকের গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে মৃত্যু হল দাদুর। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে নাতি। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে।
কী ঘটেছিল?
শুক্রবার। সকাল ১০। খিদিরপুর থেকে প্রিন্সেপ ঘাটের দিকে দুরন্ত গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন দিলীপকুমার বিশ্বাস। স্পিডোমিটারের কাঁটা তখন ৮০ ছুঁই ছুঁই। আচমকাই কম বয়সী দুই বাইক আরোহীকে ওভারটেক করতে গতি বাড়িয়ে দেন দিলীপবাবু। নাতির বারণ না শুনেই ওই দুই বাইক আরোহীকে ‘সবক’ শেখাতে ধাওয়া করেন বছর ‘ছিয়াত্তরের যুবক’। প্রিন্সেপঘাটের কাছে ওভারটেক করার সময় সামনে এসে যায় একটি বাস। ডানদিক থেকে ওই বাসটিকে ওভারটেক করার সময়ই ঘটে বিপত্তি। সামনে যে একটি স্তম্ভ রয়েছে, বুঝতে পারেননি দিলীপবাবু।
ওই স্তম্ভেই সজোরে ধাক্কা মারেন তিনি। মাথায় হেলমেট থাকলেও গুরুতর আঘাত পান দিলীপবাবু। নাতিও রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। শুক্রবার মৃত্যু হয় দিলীপ বিশ্বাসের। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে বছর ২৫-এর নাতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিলীপের বাড়ি বেহালা থানা এলাকার পশুপতি ভট্টাচার্য রোডে। বাইকের (ডব্লুবি ২০-এটি-৭৭৭১) গতি বেশি থাকায় দুর্ঘটনার পর তা দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাত পান দিলীপ। হাড়গোড়ও ভেঙে যাঁয় তাঁর। আজ, শনিবার তাঁর ময়নাতদন্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুনে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তৃণমূলের
সম্প্রতি শহরে বেশ কয়েকটি পথ দুর্ঘটনা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। ট্রাফিক পুলিশকে নজরদারি আরও বাড়াতে নির্দেশও দিয়েছেন। এই ঘটনার পর ওই এলাকায় আরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: এটিএম লুটে ভিন্ রাজ্যের যোগ, হরিয়ানা থেকে ধৃত অভিযুক্ত