মিজোরাম থেকে সোনা নিয়ে কলকাতা এসে ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইনটেলিজেন্সের (ডিআরআই) অফিসারদের হাতে ধরা পড়ে গেলেন সাত তরুণ ও এক তরুণী।
রবিবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ৯ কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে। যার বাজারদর প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বলে ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, এই আট জনের প্রত্যেকেই নিজেদের পায়ুর ভিতরে সোনা লুকিয়ে এনেছিলেন। আইজল বিমানবন্দর থেকে উড়ান ধরার আগে তাঁদের ঠিক করে তল্লাশি করা হলে, সেখানেই সোনা ধরা পড়ার কথা ছিল বলেও বক্তব্য ডিআরআই-এর।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ধৃত এই আট জনই হাওড়ার বাসিন্দা। দিন কয়েক আগে সোনা পাচারের উদ্দেশ্যে তাঁরা মিজোরাম যান বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মিজোরাম ও মায়ানমারের সীমান্ত দিয়ে এই চোরাই সোনা ভারতে ঢোকে। সেখান থেকে সেই সোনা নিয়ে আইজলে আসেন অন্য কেউ। জন প্রতি ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে হাওড়ার এই তরুণ-তরুণীরা সোনা পাচারে রাজি হন। আইজলে সেই সোনা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। লুকিয়ে পায়ুর ভিতরে করে সেই সোনা নিয়ে তাঁরা কলকাতায় আসেন।
কিন্তু এ ভাবে সোনা পাচারের খবর আগাম পেয়ে গিয়েছিলেন ডিআরআই অফিসারেরা। তাই রবিবার বিকেলে তাঁদের বিমানটি কলকাতায় নামার আগেই হাজির হয়ে যান অফিসারেরা। এই আট জন নামলে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় শুল্ক দফতরে। সেখানেই দেহ তল্লাশি করে পাওয়া যায় সোনা।
কলকাতার আরও খবর পড়তে চোখ রাখুন আনন্দবাজারে।