প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসকের ভুয়ো পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল চার যুবক এবং তাদের এক সঙ্গী। মঙ্গল এবং বুধবার আর জি কর এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এই ধরপাকড় হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাজীব রঞ্জন, রাহুল কৃষ্ণা, মুশারফ সরফরাজ, খিজার আয়ার এবং মহম্মদ সাজিদ। প্রত্যেকেরই বাড়ি বিহারের পটনার সুলতানগঞ্জে। তবে রাহুলের বাড়ি বিহারে হলেও সে দমদমের মতিঝিলে থাকত। প্রথম তিন জনকে টালা থানা এবং বাকি দু’জনকে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অভিযোগ, এমবিবিএসের ভুয়ো নথি জমা দিয়ে এমডি পাঠক্রমে ভর্তি হতে চেষ্টা করেছিল চার ভুয়ো ছাত্র। দু’টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মোট পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে। লালবাজারের অনুমান, এর পিছনে রয়েছে আন্তঃরাজ্য চক্র। এই মুহূর্তে অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো আর জি কর এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও স্নাতকোত্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অভিযোগে জানান, ভর্তির নথি যাচাইয়ের কাজ চলাকালীন দেখা যায়, অন্য ছাত্রের নথি নিয়ে ভর্তি হতে এসেছে মুশারফ সরফরাজ। ওই হাসপাতালেই বুধবার নথি পরীক্ষার জন্য যায় রাজীব রঞ্জন। তার সঙ্গে ছিল রাহুল। অভিযোগ, রাজীবের এমবিবিএসের নথি পরীক্ষা করতে গিয়েও দেখা যায়, সেটিও ভুয়ো। রাজীব যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর জমা দিয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেটি অন্যের নামে রয়েছে। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে এসে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে খিজার আয়ার এবং মহম্মদ সাজিদ। দু’জনকে বুধবার আদালতে পেশ করে তদন্তের স্বার্থে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, ঘটনাগুলি পৃথক হলেও অনুমান করা হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। কারণ, ধৃতদের বাড়ি একই জায়গায়। একই কায়দায় ভুয়ো নথি নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে এসেছিল তারা। ধৃতদের জেরা করে ওই চক্রের বাকিদের খোঁজ চলছে। এক তদন্তকারী জানান, রাহুল দু’দিনই ওই ছাত্রদের নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল। তাকে জেরা করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।