প্রতীকী ছবি।
বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় একটি গাড়িকে আটকেছিল বিধাননগর পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে চালক কোনও নথি দেখাতে পারেননি। তাঁকে
জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গাড়িটি আসলে চোরাই গাড়ি। সেটি বিক্রি করার জন্য নিয়ে এসেছিলেন চালক। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে সন্ধান মিলল একটি বড়সড় আন্তঃরাজ্য গাড়ি চুরি চক্রের। চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, এই রাজ্য থেকে গাড়ি চুরি করার পরে সেটি হাতবদল হয়ে চলে যেত উত্তরপ্রদেশে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল মহম্মদ সালাউদ্দিন, নৌসাদ শেখ, মহম্মদ জামিল এবং মহম্মদ গুফরান। এদের মধ্যে জামিল এবং গুফরান উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। ধৃতদের থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিনটি দামি গাড়ি। উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৫০০ টাকাও।
পুলিশ জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে মামলা শুরু হয়। তদন্তে নেমে পরে ধরা হয় নৌসাদকে। দু’জনেই মহেশতলার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেছে, তারা গাড়ি চুরি চক্রে জড়িত। একটি গাড়ি চুরি করে সেটি এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় জামিল এবং গুফরানকে বেচতে এসেছিল। সালাউদ্দিন ধরা পড়তেই চক্রের পর্দা ফাঁস হয়। ৮ ডিসেম্বর রাতে গ্রেফতার হয় জামিল এবং গুফরান। তাদের জেরা করে খোঁজ মেলে আরও দু’টি গাড়ির। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই দু’জনের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় টাকা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই চক্রের শিকড় কতটা গভীরে তা জানতে ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চক্রে আরও কারা জড়িত, সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।