প্রতীকী ছবি।
একটি চেক জমা পড়েছিল ব্যাঙ্কে। অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে তা পরীক্ষা করতে গিয়ে ব্যাঙ্ককর্মীরা দেখতে পান, চেকের মধ্যে দু’বার করে অ্যাকাউন্ট নম্বর লেখা হয়েছে। দু’টি আলাদা নামও রয়েছে। প্রথমে এক বার লেখার পরে সেটি তুলে আর এক বার লেখা হয়েছে। টাকার অঙ্কও দু’বার লেখা হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ চেক জমা দিতে আসা ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে চেক নিয়ে তাতে জালিয়াতি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই চক্রের দুই সদস্যকে। ধৃতদের নাম ভিকি সাউ এবং অনুরাগ পাণ্ডে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে পোস্তা থানা এলাকার কলাকার স্ট্রিটের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওই দিনই চেকটি জাল করে টাকা তুলতে এসে গ্রেফতার হয় ভিকি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বৃহস্পতিবার রাতে পোস্তা থানার তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অনুরাগ। ধৃত দু’জনকেই শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাদের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, চলতি মাসের গোড়ায় হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী দশ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একটি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার নাম করে অভিযুক্তেরা ওই ব্যবসায়ীকে ঋণ পাওয়া যাবে বলে জানায়। এর জন্য একটি অল্প টাকার চেক ঋণ প্রদানকারী সংস্থার নামে কেটে দিতে বলে ব্যবসায়ীকে। যা জমা পড়লেই নিজের অ্যাকাউন্টে ঋণের টাকা তিনি পেয়ে যাবেন বলে জানায় তারা। পুলিশ জানায়, ওই ব্যবসায়ী অভিযুক্তদের দেওয়া পেন দিয়ে ১৫০ টাকার চেক লিখে দেন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের পেনে ভ্যানিশিং ইঙ্ক ভরা ছিল। লেখার কয়েক ঘণ্টা পরেই তা মুছে যায়। এর পরেই অভিযুক্তেরা সেখানে ‘সেল্ফ’ লেখে এবং নিজেদের মতো করে টাকার অঙ্ক বসিয়ে ওই ব্যাঙ্কে জমা দিতে যায়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এই কায়দায় জালিয়াতি করছে। চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ চলছে।