প্রতীকী ছবি।
একই সঙ্গে ঋণ এবং উপহার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দু’জনকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করল লালবাজার সাইবার থানা। ধৃতদের নাম ভগবান দেব এবং শচীন কুমার। সরকারি কৌঁসুলি তারকনাথ মণ্ডল এবং অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, রবিবার দু’জনকে দিল্লি থেকে কলকাতায় এনে আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, জুলাই মাসে এক মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণের প্রয়োজন ছিল। সেই ঋণ পেতে তিনি একটি অ্যাপ ডাউনলোড করেন। এর পরে এক মহিলা ও এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে এসএমএসে কিছু তথ্য পাঠাতে বলে। সেই মতো সব তথ্য পাঠান মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, এর পরে তাঁকে ফের ফোন করে বলা হয়, ঋণের ‘প্রসেসিং ফি’ বাবদ ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দিতে হবে। এরই মধ্যে অভিযোগকারিণীর কাছে একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন আসে। মার্কিন নাগরিক বলে
পরিচয় দিয়ে দু’জন ওই মহিলাকে জানান, তিনি ৭০ হাজার ডলারের উপহার পেয়েছেন।
অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে উপহার নিতে রাজি হননি। কিন্তু ওই দু’জন জোরাজুরি করায় তিনি শেষমেশ রাজি হন। এর পরে তাঁর কাছে শুল্ক দফতরের নাম করে ফোন আসতে শুরু করে। বলা হয়, উপহারটি নিতে গেলে তাঁকে কিছু টাকা দিতে হবে। ওই মহিলার দাবি, এ ভাবে প্রায় ১৩টি অ্যাকাউন্টে তিনি ২৪ লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু তার পরেও ঋণ মেলেনি। শেষে প্রতারিত হয়েছেন তা বুঝতে পেরে গত ২৪ জুলাই লালবাজারের সাইবার থানার দ্বারস্থ হন তিনি।
অভিযোগ পাওয়ার পরে গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে ফোন নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে শচীনকে গ্রেফতার করেন। তাকে জেরা করে হদিস মেলে ভগবানের। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে একাধিক ল্যাপটপ, বেশ কয়েকটি মোবাইল, সিম কার্ড এবং আরও অনেক মহিলার প্রোফাইল পাওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই মহিলাদেরও প্রতারণা করে টাকা হাতিয়েছে ধৃতেরা।