প্রতীকী ছবি।
পুলিশের খাতায় তারা ‘ফেরার’। অথচ হাওড়ার জগাছায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের চেষ্টায় মূল অভিযুক্ত সেই দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধেই ফের এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল। স্থানীয়দের অভিযোগ, শঙ্কর কর্মকার এবং তার সঙ্গী রিকু নামে ওই দুই দুষ্কৃতী এখনও অধরা। তারই মধ্যে সোমবার রাত ১১টা নাগাদ জগাছার ইছাপুরে ঢুকে তারা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। কেন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে, এই বলে দুই যুবককে মারধর করে গুলি করারও চেষ্টা করে। খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা বেরিয়ে আসায় তারা পালায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২৫ অগস্ট জগাছার কেশব ভট্টাচার্য লেনে ছাঁট লোহার এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে শঙ্কর ও রিকু। তার পরে রিভলভার দেখিয়ে এক ব্যক্তির মোটরবাইক নিয়ে পালায়। এর পরে এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তোলেন স্থানীয়েরা। তাঁরা জানান, শঙ্করের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীদের একটি দল তৈরি হয়েছে। তোলাবাজি, ছিনতাই, মোটরবাইক চুরি থেকে শুরু করে খুন— সবেতেই সিদ্ধহস্ত দলের ১৮ জন সদস্য এলাকায় ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
সোমবার কী ঘটেছিল? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাতে শঙ্কর ও রিকু এলাকায় ফিরে আসে এবং এলাকার দুই যুবক রূপেশ কর্মকার ও জিতু দত্তকে মারধর করে। রূপেশের স্ত্রী তাপসী কর্মকার জানান, রাত ১১টা নাগাদ তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন জিতু। তখনই তাঁদের উপরে চড়াও হয় শঙ্করেরা। তাপসী বলেন, ‘‘ওরা প্রথমেই জিতুকে মারতে শুরু করে। বাধা দিতে এলে আমার স্বামীকেও মারধর করে।’’
জিতু বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। ঘটনার পর থেকে পুলিশ আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। শঙ্কর ও রিকুর মনে হয়েছে, আমি ওদের নামে পুলিশকে বলেছি। তাই আমাদের মারধর করার পরে রিভলভার বার করে গুলি চালানোরও চেষ্টা করে। তত ক্ষণে পাড়ার লোকজন বেরিয়ে এলে ওরা পালায়।’’
ঘটনার খবর পেয়ে আসে জগাছা থানার পুলিশ। দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চলে। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের হদিস মেলেনি। পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘শঙ্কর ও তার শাগরেদ রিকু যে সোমবার রাতে এলাকায় ঢুকেছিল, তার নির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এলাকার লোকজনের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। দুষ্কৃতী দলটিকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।’’