চালকের মৃত্যু, প্রতিবাদে অটো বন্ধ ১৮ রুটে

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে এ-২২ রুটের একটি সরকারি বাস গড়িয়াহাট-তারাতলা রুটের অটোটিতে ধাক্কা মারে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনাস্থলে থাকা অটোচালকদের অভিযোগ, বেসরকারি বাসের সঙ্গে সরকারি বাসটি রেষারেষি করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:২৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ফাঁকা অটোটিকে দুমড়ে-মুচ়ড়ে দিয়েছিল একটি সরকারি বাস। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ন’টায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে নিউ আলিপুর থানা এলাকার সাহাপুর রোডের উপরে। গুরুতর আহত ওই অটোর চালক সঞ্জয় সরকারকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতেই মারা যান তিনি। এই ঘটনায় বুধবার সকাল থেকেই অটো বন্ধ রাখলেন গড়িয়াহাট-বেহালা রুট-সহ একাধিক রুটের অটোচালকেরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে এ-২২ রুটের একটি সরকারি বাস গড়িয়াহাট-তারাতলা রুটের অটোটিতে ধাক্কা মারে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনাস্থলে থাকা অটোচালকদের অভিযোগ, বেসরকারি বাসের সঙ্গে সরকারি বাসটি রেষারেষি করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। দোমড়ানো-মোচড়ানো অটোর ভিতর থেকে চালককে উদ্ধার করে নিউ আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু ক্ষণ পরে সেখানেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ অটোচালকেরা কিছু ক্ষণের জন্য রাস্তা অবরোধ করেন। অটোচালকদের অভিযোগ, একই রুটের বাস চলে এলে কমিশনের জন্য বেসরকারি বাস রেষারেষি শুরু করে। এমনটা প্রায়ই হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। এ বার সেই একই কাজ করল একটি সরকারি বাস। এ সবের প্রতিবাদেই তাঁরা বুধবার অটো বন্ধ রাখবেন বলে রাতে সিদ্ধান্ত নেন।

সেই মতোই বুধবার সকাল থেকে বালিগঞ্জ-বেহালা পর্যন্ত মোট ১৮টি রুটের অটো চলাচল বন্ধ রাখে ইউনিয়নগুলি। বালিগঞ্জ থেকে গড়িয়াহাট, গড়িয়াহাট থেকে চেতলা, নিউ আলিপুর, বেহালা, তারাতলা রুটে বাস কম থাকায় যাত্রীরা অটোতেই মূলত যাতায়াত করেন। যার জেরে ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তবে বর্ষশেষের ছুটির আমেজ থাকায় এ দিন চরম ভোগান্তির ছবি দেখা যায়নি। অটো ইউনিয়নগুলির দাবি, যাত্রীদের অসুবিধা সত্ত্বেও রেষারেষির প্রতিবাদে অটো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মতে, অটোয় যাত্রী থাকলে তাঁদের অবস্থা যে সঞ্জয়ের মতোই গত তা অটোটি অবস্থা দেখেই বোঝা যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement