ভবানীপুরের সাউথ সাবার্বান স্কুল। —নিজস্ব চিত্র।
ইস্কুল গর্ব করে কী নিয়ে? বর্তমানের ছাত্রদল, শিক্ষক, পড়াশোনা নিয়ে তো বটেই। আর যত পুরনো ইস্কুল, ইতিহাসের মাইলফলক, গৌরবের রত্নরাজি তত প্রোজ্বল; প্রাক্তনী, প্রাক্তন শিক্ষক মিলিয়ে সুদূর-অদূর অতীতও তখন পরম গর্বের। ভবানীপুরের সাউথ সাবার্বান স্কুল (মেন) (ছবিতে) যেমন। ১৮৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা, এ বছর তার সার্ধশতবর্ষের সূচনা! স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, তাঁর পিতা গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে স্কুলের গোড়াপত্তন, প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন শিবনাথ শাস্ত্রী! জানা যায়, ১৯০২-এর ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দের মহাপ্রয়াণের পরে এই স্কুলেই সর্বপ্রথম শোকসভার আয়োজন করা হয়, ১২ জুলাই। সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রধান বক্তা ছিলেন ভগিনী নিবেদিতা! দেড়শো বছরের পুরনো স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক তালিকা কত সমৃদ্ধ হতে পারে, সহজেই অনুমেয়। সাউথ সাবার্বান স্কুল গর্বভরে বলতে পারে, স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় থেকে উত্তমকুমার তাদের প্রাক্তনী!
কয়েকজন প্রাক্তনী হয়েছেন উপাচার্য: স্যর আশুতোষ তো বটেই, এ ছাড়াও রমেশচন্দ্র মজুমদার, প্রতুলচন্দ্র গুপ্ত, ধীরেন গঙ্গোপাধ্যায়, আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। প্রাক্তনী বিজয়কুমার বসু কলকাতা পুরসভার মেয়র হয়েছিলেন। সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রেমেন্দ্র মিত্র অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত শিশিরকুমার দাশ দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় রবি ঘোষ তরুণকুমার সুকুমার সমাজপতি প্রাক্তনী এ স্কুলের; মনোজ বসুর মতো লেখক প্রাক্তন শিক্ষক। ১৯২৩ সালে স্কুলের প্রথম পত্রিকা প্রকাশ, আর সে বছরই তিন প্রাক্তনী গোকুলচন্দ্র নাগ, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত ও অন্য সাহিত্যবন্ধুরা মিলে প্রকাশ করেন বিখ্যাত কল্লোল পত্রিকা। দুইয়েরই শতবর্ষ এ বছর!
স্কুলে প্রকৃতিপাঠ শিবির, শিক্ষক-ছাত্রদের ভ্রমণ-পরম্পরা শুরু ষাটের দশক থেকে। স্কুল ছেড়ে গেলেও যোগাযোগ অটুট রাখার ভাবনা থেকে ১৯৮৭-তে তদানীন্তন প্রধান শিক্ষক নলিনাক্ষ রক্ষিতের সভাপতিত্বে তৈরি হয় ‘নেচারলাভার্স’, এখনও যে সংগঠন প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষকদের সেতুবন্ধ। ইস্কুলের সার্ধশতবর্ষ, স্কুলের প্রথম পত্রিকা প্রকাশের শতবর্ষে ওঁরা প্রকাশ করেছেন নেচারলাভার্স পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা (সম্পা: প্রাক্তন শিক্ষক সুধাংশুশেখর মুখোপাধ্যায়)। ৫৪৬ পৃষ্ঠার বৃহদ্বপু পত্রিকাটি জরুরি এক ‘ডকুমেন্টেশন’। স্কুল, শিক্ষকদের নিয়ে নানা লেখা, গোকুলচন্দ্র নাগ ও প্রাক্তন শিক্ষক পরিমলকুমার দত্তের স্মৃতি-অর্ঘ্য; রবীন্দ্রনাথ, আইনস্টাইন ও জর্জ বার্নার্ড শ’কে নিয়ে ক্রোড়পত্র, আসলে যা পুরনো স্কুলপত্রিকা থেকে সেকালের ছাত্রদের লেখার চয়ন, শিশিরকুমার দাশ পবিত্র মুখোপাধ্যায়ের নামের পাশে লেখা ‘দশম শ্রেণি ক/খ’! প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক, ভাষাতত্ত্বরত্ন নলিনীমোহন সান্যালের বঙ্কিম-প্রতিভা পুস্তিকা, ১৯৩৪-এ হীরকজয়ন্তীতে প্রকাশিত রিপোর্টটিও মুদ্রিত পত্রিকায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রেস ক্লাবে প্রকাশ পেল পত্রিকা, ১০ সেপ্টেম্বর শিশির মঞ্চে হল শিক্ষকদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। ছবি সৌজন্য: নেচারলাভার্স
শিল্পী স্মরণে
সুচিত্রা মিত্র তাঁকে বলেন ‘আত্মার আত্মীয়, আমার গুরু’, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন ওঁর ‘গানের ভিতর দিয়ে পুজো’ করার কথা, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বলে শেষ করতে পারেন না তাঁর ‘কণ্ঠের ওজস্, বলিষ্ঠতা, স্বতঃস্ফূর্ত আবেগপ্রবাহ’ বিষয়ে, রবীন্দ্রনাথের গানে নতুন করে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিল যা। তিনি পঙ্কজকুমার মল্লিক (ছবি)। বাঙালির প্রিয় শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিসুধায় পঙ্কজকুমার (সম্পা: ঋতীশ রঞ্জন চক্রবর্তী) নামে বই প্রকাশ করল সঙ্গীত সংস্থা সুরনন্দন ভারতী। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় ইন্দুমতী সভাগৃহে শিল্পী স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান তাদের, সেখানেই আনুষ্ঠানিক প্রকাশ বইটির। শিল্পীকে নিয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র জগন্ময় মিত্র যূথিকা রায় বিমলভূষণ অরবিন্দ বিশ্বাস ও শিল্পীর কন্যা অরুণলেখা গুপ্ত প্রমুখের অর্ঘ্য, রয়েছে পঙ্কজকুমারের সুরারোপিত ‘হে চিন্ময়ী’ গানটির স্বরলিপি, তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীত ও লং প্লেয়িং রেকর্ড-পরিচিতি, চলচ্চিত্র-তালিকাও।
রজতজয়ন্তী
২৫তম বর্ষে পদার্পণ করছে নৈহাটির কাঁটালপাড়ায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বসতবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত বঙ্কিম-ভবন গবেষণা কেন্দ্র। ১৯৯৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, আজকের দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয় এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা বিভাগের তত্ত্বাবধানে। ভবনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, অধ্যাপক সত্যজিৎ চৌধুরীর নামাঙ্কিত স্মারক বক্তৃতা শুরু হয়েছে গত বছর, বলেছিলেন সুশোভন অধিকারী। এ বছর দ্বিতীয় বর্ষের ‘সত্যজিৎ চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা’ আজ বিকেল ৪টেয় ভবনের সঞ্জীবচন্দ্র সভাগৃহে, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলবেন ‘বাংলা চলচ্চিত্র: ইতিহাসের সন্ধান’ বিষয়ে। ভবনের রজতজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানের অন্যতম অঙ্গ হিসাবে প্রকাশিত হবে কৃষ্ণা রায়ের লেখা বই— বঙ্কিমচন্দ্রের নারী-ভাবনা: সাহিত্যে, জীবন দর্শনে।
সাহিত্যের রাত
ঘরের একটি প্রান্তে বসে নিজের রচনা থেকে পড়ে শোনাচ্ছেন লেখক, সামনে শ্রোতারা। লেখক-শ্রোতার এই ‘সংলাপ’ শেষ হলে শ্রোতা হয়তো যাচ্ছেন পাশেই অন্য এক ঘরে, যেখানে তাঁর অপেক্ষায় বসে আর এক লেখক। সেখানেও পাঠ, প্রশ্ন-উত্তর, আলাপন। এমনই এক সাহিত্যসন্ধ্যার সাক্ষী থাকবে কলকাতা, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস ফর কালচার-এর দিল্লি ও কলকাতা শাখা আয়োজন করেছে ‘লং নাইট অব লিটারেচারস’: জার্মানি ফ্রান্স স্পেন পর্তুগাল অস্ট্রিয়া হাঙ্গেরি পোল্যান্ড ব্রিটেন ইউক্রেন স্লোভেনিয়া-সহ ইউরোপের ১১টি দেশের লেখকেরা মুখোমুখি হবেন এ শহরের সাহিত্যপ্রেমী পাঠক-শ্রোতার, গ্যোয়টে ইনস্টিটিউট-ম্যাক্সমুলার ভবন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ়-এ। অভিনব।
নারী-কথা
কেউ স্বল্পপরিচিত, কারও পরিচয় বাঁধা নেহাতই পারিবারিক গণ্ডিতে। তবু, বাঙালির নারীমুক্তি-চেতনায় নবজাগরণের কারিগর তাঁরাও। এমনই ক’জন বিস্মৃতপ্রায় মেয়েদের জীবনকথার সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করাবে সদ্যপ্রকাশিত বই অনুপ্রাণনা: একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য (সম্পা: শিখা চট্টোপাধ্যায় ও অনিরুদ্ধ রক্ষিত)। ব্রাহ্ম সম্মিলন সমাজ ও অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনার উদ্যোগে এ বইয়ে আছে হরিপ্রভা তাকেদা লাবণ্যপ্রভা বসু হেমলতা সরকার ফুল্লরাণি দাশ প্রমুখ, আবার সুচরিতা পাল সাধনা দাস সেবতী মিত্রের মতো তথাকথিত স্বল্পজ্ঞাত নারীদের কথা; অতীতপৃষ্ঠা থেকে দুর্লভ উদ্ধারও। রাজা রামমোহন রায়ের প্রয়াণদিন, ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভবানীপুর ব্রাহ্ম সম্মিলন সমাজে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ, বলবেন প্রসাদরঞ্জন রায় ও ঋতা ভিমানি।
মঞ্চে ভূত
কুয়াশাঘেরা দার্জিলিঙের জলাপাহাড়, আরও রহস্যময় সেখানকার এক হোম স্টে। ব্যস্ত জীবন থেকে বহু দূরে সেখানেই এক অদ্ভুত ‘চরিত্র’-এর মুখোমুখি হয় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দীপ্তেশ। ‘মোহন মনোহর শোভন সুন্দর মুরলী বদন শাস্ত্রী’— বাহারি নাম, বিচিত্র চরিত্র। কথায় কথায়, রসিকতা তর্ক স্বীকারোক্তি বেয়ে উঠে আসে নানা গল্প— ভালবাসার, উপেক্ষার, আক্ষেপের, খিদের, যুদ্ধের। কী আছে আসলে এই পাহাড়চুড়োয়, শেষেই বা কোন চমক? কলকাতার মঞ্চে নতুন নাটক ভূত মঞ্চে আনছে ‘উষ্ণিক’ নাট্যদল, অভিনয়ে দেবশঙ্কর হালদার, শুভাশিস মুখোপাধ্যায় ও শর্মিলা মৈত্র। ঈশিতা মুখোপাধ্যায়ের রচনা ও নির্দেশনায় ভূত-এর প্রথম অভিনয় আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অ্যাকাডেমি মঞ্চে— বিশ্ব শান্তি দিবস চলে গেল সদ্য, তারই রেশ ধরে।
নজরকাড়া
জোড়াসাঁকোর পাঁচ নম্বর দ্বারকানাথ ঠাকুর লেনের বিখ্যাত দক্ষিণের বারান্দা বহু দিন আগেই কলকাতার বুক থেকে মুছে গেছে। কিন্তু আজও উত্তর কলকাতার কোনও কোনও পুরনো বাড়ির বারান্দায় হঠাৎ চোখ চলে গেলে দাঁড়িয়ে পড়ে পথচলতি ব্যস্ত পা। বিশেষ করে সেই সব বারান্দার গায়ে প্রাচীন আভিজাত্য ও নান্দনিকতার স্মৃতি জড়িয়ে থাকা আশ্চর্য সুন্দর লোহার কাজ থেকে চোখ ফেরানো যায় না। লোহার কাজের বিভিন্ন নকশা ও অলঙ্করণে ধরা রয়েছে এই শহরের সামাজিক আর নির্মাণ তথা স্থাপত্য-ইতিহাসের বহু অধ্যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যারা স্বল্পালোচিত। কলকাতার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এষণায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছেন জহর সরকার, সেই কাজের অংশ হিসাবেই এ বার তিনি বলবেন ‘লোহার সৌন্দর্যময় শিল্পকুশলতা: উত্তর কলকাতার বারান্দা’ (ছবি প্রচারপত্র থেকে) নিয়ে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর, আলিপুর মিউজ়িয়মের সেমিনার হল-এ, বিকেল সাড়ে ৫টায়।
জীবন-নদী
বাংলার নদী, তার জোয়ার-ভাটা— জীবনেরই চিরন্তন প্রতীক। পাড়ে গড়ে ওঠা সভ্যতা, ইতিহাস-সংস্কৃতিরও সাক্ষী সে। আর তার বুকে সুদূর কোন অতীত থেকে আজও বয়ে চলা নৌকারাও কি যানবাহন শুধু? বাংলার মানুষ আর নদী, এই দুইয়ের সেতুবন্ধ সে। মানুষের আনন্দ-বেদনার সাক্ষী সেও, উৎসবের ধারক, আমোদের বাহক। দুর্গাপূজা এগিয়ে আসছে, নগরসংস্কৃতিতে তার একুশ শতকীয় রূপ যতই পাল্টাক, গ্রামবাংলায় তার অকৃত্রিম রূপকল্পটি এখনও নদী আর নৌকার সঙ্গে আশ্লিষ্ট: গাঁদাফুলের মালায় সেজে ওঠা নৌকোয় শাঁখ-ঢাকবাদ্যে প্রতিমার ঘরে আসা, নদীর জলে তার প্রতিবিম্ব। নদী, মানুষ আর তার উৎসবের এই ত্র্যহস্পর্শ পবিত্র সাহার আঁকা নিসর্গচিত্রে (ছবি); ‘নৌকা ও নদীজীবন’ শীর্ষক চিত্রপ্রদর্শনী চলছে গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে, অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এর ওয়েস্ট গ্যালারিতে, বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা। আজ শেষ দিন।
জন্মশতবর্ষে
জুলাই ১৯৭৮, বিশ্ব চলচ্চিত্র ও সমাজ নিয়ে এক সভায় যোগ দিতে লস অ্যাঞ্জেলেস গিয়েছেন মৃণাল সেন। এক কৃষ্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রকারও হাজির সেখানে, সেনেগালের। পরের বছর দিল্লিতে ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখা গেল জুরি-প্রধান তিনিই— উসমান সেমবেন। গল্প-উপন্যাস লেখেন ফরাসিতে, ছবি করেন ফরাসি ও সেনেগালের নিজস্ব ভাষার মিশেলে। ’৮৮-তে ফ্রান্সে এক ছবি উৎসবে তাঁর দেখা পান কলকাতায় আফ্রিকান চলচ্চিত্র চর্চার ভগীরথ ধ্রুব গুপ্ত; উসমান তাঁকে বলেন, অনেক বেশি সংখ্যায় মানুষের কাছে পৌঁছতেই তাঁর স্রেফ সাহিত্যে আবদ্ধ না থেকে ছবিও করা। আফ্রিকার চলচ্চিত্রের পুরোধাপুরুষের জন্মশতবর্ষ পালন করছে উত্তরপাড়া সিনে ক্লাব, ২৩-২৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপাড়া নেতাজি ভবনে মান্দাবি, এমিতাই, মুলাদে, বোরোম সারে ছবি দেখিয়ে; রবিবার তাঁকে নিয়ে বলবেন শেখর দাশ। কলকাতা কী ভাবছে?