অঘটন: মুখোমুখি ধাক্কা লাগে এই দু’টি বাসের। বুধবার সন্ধ্যায়, রাজারহাটের শিখরপুরে। নিজস্ব চিত্র
দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হলেন অন্তত ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে তিন-চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাটের শিখরপুরে বেদিক ভিলেজের কাছে আড়বেলিয়া মোড়ে। আহতদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য সরকারি হাসপাতালে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন বৃষ্টি পড়ছিল। রাস্তাও ছিল অন্ধকার। ভাঙড়ের দিক থেকে শ্যামবাজার আসছিল একটি বেসরকারি রুটের বাস। আড়বেলিয়া মোড়ে সেটির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে শ্যামবাজার-পোলেরহাট রুটের একটি বেসরকারি বাসের। স্থানীয়দের দাবি, ভাঙড়ের দিক থেকে আসা বাসটির গতি ছিল বেশ বেশি। আচমকা একটি বাঁকের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারান চালক।
তীব্র শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। সংঘর্ষের জেরে বাসের মধ্যে ছিটকে পড়ে কারও মাথা ফেটে যায়, কারও চশমা ভেঙে আঘাত লাগে চোখে। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক মহিলা ও শিশু। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে পৌঁছয় রাজারহাট থানার পুলিশ। আসে স্থানীয় ট্র্যাফিক পুলিশও। তারা প্রথমে বাস দু’টিকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু দুর্ঘটনার অভিঘাতে পোলেরহাটমুখী বাসটির চালক এমন ভাবে কেবিনে আটকে গিয়েছিলেন যে, তাঁকে উদ্ধার করতে সাময়িক সমস্যা হয়। শেষে গ্যাস কাটার দিয়ে কেবিনের দরজা ও স্টিয়ারিং কেটে চালক কালাম মোল্লাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই এলাকায় সর্বত্র রাস্তা চওড়া নয়। দু’টি বাস কোনও রকমে চলতে পারে। সেখানে সামান্য অসতর্ক হলে অথবা বেপরোয়া গতিতে চালালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। যদিও খারাপ রাস্তার অভিযোগ অস্বীকার করে রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর জানান, আগের চেয়ে রাস্তার অবস্থা ভাল হয়েছে। বরং সমস্যা মেটাতে হলে চালকদেরই আরও সাবধান হতে হবে। পুলিশ জানিয়েছে, নিয়মিত কেস রুজু করা এবং সচেতনতার প্রচার চললেও চালকদের একাংশ তাতে আমল দিচ্ছেন না। সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।