প্রতীকী ছবি।
এক কিশোরীকে অপহরণ করে দিল্লি নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের দায়ে এক যুবককে দশ বছর সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত। শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস ওই নির্দেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম শোয়েব ওরফে আজম আলি।
সরকারি কৌঁসুলি অসীম কুমার জানান, গত বছর ৭ অক্টোবর আজম ওই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি পালিয়ে যায়। সেখানে জাল হলফনামা দাখিল করে কিশোরীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে ওই যুবক। তার সঙ্গে সহবাসও করে। সেই সময়ে কিশোরীর বয়স ছিল ১৫ বছর। কিন্তু বিয়ের সার্টিফিকেটে মেয়েটির বয়স দেখানো হয় ১৮ বছর।
অসীমবাবু জানান, মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তার মা। টালা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ইতিমধ্যে মায়ের সঙ্গে মেয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করে। মা মেয়েকে বলেন টালা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে। দিল্লির ভাড়া বাড়িতে ২১ দিন থেকে আজমের সঙ্গে কলকাতায় ফিরে আসে কিশোরী। পুলিশ অপহরণ ও পকসো (প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে চার্জশিট পেশ করে আজমের বিরুদ্ধে।
এ দিন বিচারক জানিয়েছেন, অপহরণের মামলায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাবাস ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে আজমকে। পকসো মামলায় দশ বছর সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে ওই যুবকের।