বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত এক

পুলিশ জানায়, বিধাননগর উত্তর থানা এলাকার সিডি ব্লকে একটি বাড়িতে শনিবার এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতার হয়েছে ওই বাড়ির কেয়ারটেকার শমসের আলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:০০
Share:

সল্টলেকে বহিরাগত থেকে শুরু করে কেয়ারটেকার, পরিচারকদের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রশাসন। সেই মতো কাজও চলছে। তার প্রয়োজন যে কতটা, তা এক বধূর শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ফের সামনে এল।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বিধাননগর উত্তর থানা এলাকার সিডি ব্লকে একটি বাড়িতে শনিবার এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতার হয়েছে ওই বাড়ির কেয়ারটেকার শমসের আলি।

সূত্রের খবর, ওই বধূর স্বামীর দোকান রয়েছে সল্টলেকে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ প্রৌঢ় শমসেরের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দোকানের বিক্রি ভাল হচ্ছে না বলে জানতে পারে শমসের। ওই বধূকে সে সিডি ব্লকের ওই বাড়িতে যেতে বলে। সেখানে ঝাড়ফুঁক, পুজো করে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সে। শনিবার সেখানে গেলে ওই বধূকে সে কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। কোনও মতে বেরিয়ে বাড়ি ফিরে স্বামীকে ঘটনাটি জানান ওই বধূ। থানায় অভিযোগ করা হলে রাতেই শমসেরকে ধরে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, বাড়ি মালিক বা তাঁর পরিবারের কাউকে ওই বাড়িতে থাকতে দেখা যায়নি। ছেলে ইমরানকে নিয়ে থাকত বাগনানের বাসিন্দা শমসের। স্থানীয় ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিংহ রায় জানান, এই সমস্যা নতুন নয়। অনেক বাড়িতেই শুধু কেয়ারটেকার বা তাঁর পরিবার বসবাস করে। প্রশাসন তথ্যভাণ্ডারের কাজ চালাচ্ছে। তবে বাসিন্দাদের তরফেও সহযোগিতার অভাব রয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তথ্য বা ছবি পুলিশের কাছে জমা করতে গেলে কাজ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি জোটে। তাই তাঁরা সহযোগিতা করতে পারেন না।

বিধাননগর পুলিশের একাংশের দাবি, সার্বিক চিত্র এমন নয়। তথ্যভাণ্ডারের কাজ বছরভর চলছে। নজরদারিও হয়। তবে নজরদারি কিংবা খোঁজখবর রাখার কাজের গতি আরও বাড়ানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement