—ফাইল চিত্র।
ইডির বিরুদ্ধে অচেনা ‘ফাইল ডাউনলোড’ করার অভিযোগ এনেছিলেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার এক কর্মী। চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে সেই কর্মীকে বুধবার লালবাজারে ডেকে পাঠাল কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, চন্দনকে বুধবার দুপুরের মধ্যেই লালবাজারে এসে দেখা করতে বলা হয়েছে। তাঁকে ইডির তল্লাশি এবং তাঁর অভিযোগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন করতে চান লালবাজারের গোয়েন্দারা।
গত ২১ অগস্ট লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার দফতরে প্রায় ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি সূত্রে খবর, এই সংস্থারই উচ্চ পদে কাজ করতেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তল্লাশি চলাকালীন সংস্থার কর্মী চন্দনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ইডি। পরে চন্দন দাবি করেন, ইডি আধিকারিকেরা চলে যাওয়ার পর তিনি খেয়াল করেন, সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি মাইক্রোসফ্ট এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে। তিনি এমনও দাবি করেন যে, ২১ অগস্ট তল্লাশির সময় ওই কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইডির আধিকারিকদের হাতেই। গত শুক্রবার নিজের অভিযোগে চন্দন জানান, তাঁর অনুমান, ওই সময়েই কিছু ফাইল ডাউনলোড করে নেন ইডির আধিকারিকেরা। চন্দনের সেই অভিযোগের পর থেকেই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডির অচেনা ফাইল ডাউনলোড করার নেপথ্য কারণ খুঁজতে শুরু করেছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দনকে ডেকে পাঠিয়ে তার অভিযোগের বিষয়েই আরও বিশদে জানতে চাওয়া হবে। দুপুরেই চন্দন আসবেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
গত শুক্রবার ইডির বিরুদ্ধে চন্দনের ওই অভিযোগের পর সোমবার ইডিও ডেকে পাঠিয়েছিল তাঁকে। সিজিও কমপ্লেক্সে সোমবার তিনি হাজিরা দেন। এর পরই বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠাল লালবাজার।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই চন্দনের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইডি আধিকারিককে সশরীরে উপস্থিত থেকে এই অভিযোগের জবাবদিহি করতে বলেছিল লালবাজার। ইডি অবশ্য সেই ‘নির্দেশ’ মানেনি। উল্টে তারা জানিয়ে দেয়, যা বলার ইতিমধ্যেই লিখিত ভাবে জানিয়েছে তারা। সেই জবাবে জানানো হয়েছিল, ইডির এক তদন্তকারী লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি চালানোর সময় মেয়ের হস্টেলের ব্যাপারে তত্ত্ব তালাশ করছিলেন। তার জন্যই কিছু ফাইল ডাউনলোড হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, যেহেতু গত ২১ অগস্ট লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ইডির তল্লাশি চলাকালীন চন্দন সেখানে হাজির ছিলেন, তাই তাঁর কাছে সে দিন ঠিক কী কী হয়েছিল, সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা।একই সঙ্গে ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পর চন্দনকে ইডির দফতরে ডেকে পাঠিয়ে কী কী জানতে চাওয়া হয়েছে সেই প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে জিজ্ঞাসাবাদের সময়।