ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের ‘আমরণ অনশনে’ সাধারণ মানুষের ভিড়। —ফাইল চিত্র।
ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্নায় বসতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে ইমেল করেছিল চিকিৎসকদের সংগঠনের মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’। কিন্তু ধর্না করার অনুমতি পেল না তারা। সোমবার লালবাজারের তরফে জানানো হল, ধর্নার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। কেন অনুমতি দেওয়া গেল না, তার কারণও চিকিৎসকদের সংগঠনকে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের থেকে অনুমতি না পাওয়ায় এ বার ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’ কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে।
রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে একটি ইমেল করেছে চিকিৎসকদের পাঁচ সংগঠন নিয়ে তৈরি মঞ্চ জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স। তাঁদের মূলত দু’টি দাবি ছিল, সিবিআইকে দ্রুত অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করতে হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে সিবিআইকে বাধা দেওয়া চলবে না। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো ইমেলে তারা জানায়, ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে ১৭ থেকে ২৬ ডিসেম্বর অস্থায়ী মঞ্চ গড়ে ধর্না দিতে চায়। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে মূলত এই প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে চাইছেন সদস্যেরা। সংগঠনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, এই শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কারণে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হবে না। নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে না।
তবে সংগঠনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও যানজটের কারণ দেখিয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্নার অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। তাদের তরফে চিকিৎসক সংগঠনকে জানানো হয়, প্রাক্ বর্ষবরণ এবং বড়দিনের কারণে ধর্মতলায় প্রচুর ভিড় হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে। এ হেন পরিস্থিতিতে ধর্মতলার মতো ব্যস্ত জায়গায় কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
পুজোর আগে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশনে’ বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ১০ দফা দাবি ছিল তাঁদের। সে বার পুলিশকে ইমেল করে অনুমতি চেয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। যদিও পুলিশ অনুমতি দেয়নি। সে সময় পুলিশের বক্তব্য ছিল, পুজোর আগে ধর্মতলা এলাকায় ভিড় বেশি থাকে। তাই সেখানে অবস্থান কর্মসূচি চললে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। ধর্মতলায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণেও সমস্যা হতে পারে। প্রায় একই কারণ দেখিয়েই ধর্নার অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। জুনিয়র ডাক্তারদের ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেছে তারা।