আজ থেকে যাত্রী সাধারণের জন্য শুরু হচ্ছে মেট্রো পরিষেবা।—ছবি পিটিআই।
আজ, সোমবার থেকে যাত্রী সাধারণের জন্য শুরু হচ্ছে মেট্রো পরিষেবা। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দমদম থেকে কবি সুভাষের মধ্যে মোট ১১০টি ট্রেন চলবে। এর মধ্যে ১০৪টি ট্রেন নোয়াপাড়া যাবে অথবা সেখান থেকে ছাড়বে। সকালের দিকে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর, ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১০ মিনিট অন্তর, সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর এবং সাড়ে ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। প্রান্তিক স্টেশন দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে দিনের শেষ মেট্রো ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টায়। তবে করোনা আবহে যাত্রীদের মেট্রো চড়ার জন্য ই-পাস থাকা আবশ্যক। স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের মাধ্যমে যাত্রীদের ই-পাস সংগ্রহ করতে হবে https://pathadisha.com/metro লিঙ্কের মাধ্যমে। সেখানে যাত্রীদের নাম, গন্তব্য, মোবাইল নম্বর, দিনের কোন সময় মেট্রো যাত্রা করতে চান তা জানিয়ে ১ ঘণ্টার জন্য স্লট বুক করতে হবে। বুকিং পাওয়া গেলে যাত্রীর কাছে কিউআর কোড সম্বলিত বিশেষ রংয়ের ই-পাস পৌঁছে যাবে। যাঁদের স্মার্ট ফোন নেই তাঁদের কাছে কম্পিউটারের মাধ্যমে ই-পাস পৌঁছলে তার রঙিন প্রিন্ট আউট আনতে হবে। যাত্রীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক।
এ দিন রাত আটটা নাগাদ মেট্রোর ই-পাস বুকিং শুরুর কথা থাকলেও কিছু সমস্যার জন্য নির্দিষ্ট লিঙ্ক আপলোডে প্রায় আধঘণ্টা দেরি হয়। শুরুতেই কয়েক হাজার যাত্রী একসঙ্গে পাস বুক করার চেষ্টা করাতে সার্ভার কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে। কিছু ক্ষণেই অবশ্য সমস্যা মিটে যায়। রাত ৯টার পর থেকে আগ্রহী যাত্রীরা বুকিং পেয়েছেন বলে খবর। এ দিন রাত থেকেই সোমবার সারা দিনের বিভিন্ন সময়ের জন্য ই-পাস বুক করা গিয়েছে। বুকিংয়ের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্তা সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লকডাউনের ১৭৪ দিন পরে কলকাতায় মেট্রো চালু হচ্ছে। অনেকেই একসঙ্গে পাস বুক করার চেষ্টা করছেন। তাই শুরুতে কিছুটা অসুবিধে হয়েছে।’’ এ দিন রাত ১১টা পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি যাত্রী মেট্রোতে ই-পাস বুক করেন। ওই সময় আরও সাড়ে পাঁচ হাজার যাত্রী অপেক্ষায় ছিলেন। মেট্রোতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের এই পরীক্ষা সফল হলে পুজোর আগে শহরতলির ট্রেন চালু নিয়ে তৎপরতা বাড়তে পারে বলে রেল এবং রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর।