এগিয়ে ভবানীপুর। গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ
কলকাতার মধ্যে ‘কলকাতা নয়’ কোনটা বলুন তো! এমন মজার প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই জানা। কলকাতা ৯ বলতে সবাই বোঝে রাজা রামমোহন সরনি মানে পুরনো আর্মহার্স্ট স্ট্রিট এলাকা। তবে পিন কোড কলকাতা ৯ আসলে ওই এলাকারই পার্সি বাগান পোস্ট অফিস। তেমনই এক মজার উত্তর তৈরি হয়েছে ভবানীপুরকে নিয়ে। গত ১০ বছরে ভোটদানের নিরিখে এই এলাকার ভোটাররা বাকি কলকাতার থেকে এগিয়ে। এই বিধানসভা এলাকার মানুষ দু’বার বেশি ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অন্য এলাকার থেকে। আরও একটা হিসাবে দেখা যাচ্ছে এ বছরের এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, ডিসেম্বর— মাত্র ন’মাসে তিন বার ভোট দিয়েছেন কলকাতার এই বিধানসভা এলাকায় থাকা আটটি ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
কলকাতা পুরসভার ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৭, ৮২— দক্ষিণ কলকাতার শুরুর দিকের এই আটটি ওয়ার্ড নিয়েই তৈরি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের ভোটাররা গোটা রাজ্যের সঙ্গেই ভোট দিয়েছিলেন ২০১১ সালে। জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে দেন নিজের আসন। সে বছরেই উপনির্বাচনে ভবানীপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রথম বার জিতিয়ে আনে। এর পরে ২০১৪-র লোকসভা ভোট, ২০১৫-র পুরভোট, ২০১৬-র বিধানসভা ও ২০১৯-এর লোকসভা ভোট— সবার সঙ্গে সমানে সমানে ছিল ভবানীপুর। কিন্তু ২০২১ সালে ভবানীপুরের কাছে ফের অতিরিক্ত ভোটের সুযোগ এসে যায়।
গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ
বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে জিতেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি এই আসন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ছেড়ে খড়দহ থেকে উপনির্বাচনে জিতেছেন। আর এপ্রিলে শোভনদেবকে জেতানো ভবানীপুর সেপ্টেম্বরে জেতায় মমতাকে। রবিবার বাকি কলকাতার সঙ্গে পুরভোট দিলেন ভবানীপুরের ভোটাররাও। তার সঙ্গেই বাকি কলকাতার থেকে ৯-৭ ব্যবধানে এগিয়ে রইল ভবানীপুর। বেশি ভোট দেওয়ার সুযোগ পাওয়া ভবানীপুর তাই যেন কলকাতার ভোট-পাড়া।