দিনভর ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে বুথে বুথে ঘুরলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তথা তৃণমূল প্রার্থী তনিমা চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
ভোটের শেষলগ্নে বালিগঞ্জ এলাকার সত্যভামা স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে ক্লান্তই দেখাচ্ছিল তাঁকে। সারাদিন ভোটের ব্যস্ততায় কিছুই খাওয়া হয়নি। সারাদিন ওয়ার্ড প্রদক্ষিণ করে শেষ মুহূর্তে এক অনুগামীর জোরাজুরিতে এগরোল খেয়ে ভোট কেন্দ্রের বাইরে একটি চেয়ারে বসলেন। সেখানেই দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভগ্নি তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে প্রার্থী করেও প্রতীক প্রত্যাহার করে নিয়েছিল তৃণমূল। তাঁর বদলে বিদায়ী কাউন্সিলরকেই ফের টিকিট দিয়েছিল দল। তারই প্রতিবাদে পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন তনিমা। রবিবার সেই ভোট মিটেও গেল।
জিতলে কি ফের তৃণমূলে ফিরবেন? তনিমা খানিকটা থমকে গেলেন। তার পর বললেন, ‘‘এ ক্ষত যাওয়ার নয়।প্রচারে বেরিয়ে দলের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলিনি। বলেছি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। দাদার আত্মার শান্তির জন্যেই আমার ভোটে দাঁড়ানো।দলের বিরুদ্ধে আমার লড়াই ছিল না। আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করলেও, আমি ভোটে দাঁড়াতাম না। কিন্তু বিদায়ী কাউন্সিলরকে তৃণমূল প্রার্থী করাতেই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোষিত হয় তনিমার নাম। কিন্তু পরদিনই তাঁর কাছ থেকে প্রতীক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। প্রার্থী করা হয় ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সুর্দশনা মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর বিরুদ্ধেই ভোটে দাঁড়িয়ে যান তনিমা। ভোটের প্রচারেও বার বার বাগযুদ্ধ চলেছে দুই প্রার্থীর মধ্যে। কিন্তু ভোটের দিন কোনও দ্বন্দ্ব দেখা দেয়নি তনিমা-সুর্দশনার।