দেশের আইআইটিগুলির মধ্যে আইআইটি খড়্গপুর এই প্রথম ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা কৃত্রিম মেধা ও মেশিন লার্নিংয়ের উপরে সার্টিফিকেট কোর্স চালু করতে চলেছে। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে আইআইটি ক্যাম্পাসে আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মার্চে কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে ছ’মাসের পাঠাযক্রম চালু করছি। হায়দরাবাদেও এই পাঠ্যক্রম চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক ও বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীরা এই কোর্স করতে পারবেন।’’
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কী? প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে মেশিনকে বুদ্ধিমান করে তোলাই হল আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এর ফলে মানুষের অনেক কাজ করবে যন্ত্র। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, যন্ত্র বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের থেকে ভাল পরিষেবা দিতে পারবে।
প্রশ্ন উঠছে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ফলে কি বিভিন্ন সংস্থায় মানুষের কর্মসংস্থান আরও কমে যাবে? একটি সমীক্ষা অনুযায়ী আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ চাকরি সঙ্কটে। তবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ফলে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নতুন নতুন চাকরি তৈরি হবে বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা শিবিরের আশ্বাস।
আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপিকা সুদেষ্ণা সরকার জানাচ্ছেন, কৃত্রিম মেধার পাঠ্যক্রমে এখনও চাহিদা অনুযায়ী পেশাদার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এই পাঠ্যক্রম পড়লে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির ভাল সুযোগ আছে।
পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, ‘‘খড়্গপুর আইআইটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হবে কয়েক মাসের মধ্যে। হাসপাতাল শুরু হওয়ার পরে মেডিক্যাল কলেজও চালু হবে।