কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেপি নড্ডা। ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়েন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, আমতলা থেকে শিরাকোলের দিকে এগনোর সময় আশপাশ থেকে ইট উড়ে আসে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, নড্ডার কনভয়ের আগে বাইকে ‘দুষ্কৃতী’ রাকেশ সিংহের থাকাটাই ইন্ধন যুগিয়েছে। শুক্রবার কল্যাণ বলেন, ‘‘রাকেশ খিদিরপুরের বাসিন্দা। ওর বিরুদ্ধে ৫৯টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। নড্ডার কনভয়ের সামনে বাইক নিয়ে ও যাচ্ছিল বলে খবর পেয়েছি। রাস্তার ধারে যে সব মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁদের প্রতি ও কুরুচিকর মন্তব্য করে বলেও শুনেছি। এ-ও জেনেছি, রাকেশ কুৎসিত ইঙ্গিত করে জনতাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘এর আগে বিদ্যাসাগরের যে মূর্তি ভাঙা হয়েছিল, তার নেতৃত্বে রাকেশ এবং ওর দলবল ছিল।’’
একই সঙ্গে কল্যাণের অভিযোগ, নিয়ম ভেঙেছেন নড্ডা। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান তিনি। ফলে তার যাতায়াতের পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। শ্রীরামপুরের সাংসদ মনে করছেন, কনভয়ে এত গাড়ি যাওয়া অনুচিত। তাঁর কথায়,‘‘কনভয়ে এই ভাবে বাইরের লোক যেতে পারেন না। এসকর্ট, ভিআইপি তার পর কিছু টেলকার থাকে। কাউকে যদি সেই কনভয়ে যুক্ত করা হয়, তা হলে সেই সব গাড়ির নম্বর আগে থেকে দিতে হয় প্রশাসনকে। বৃহস্পতিবার সে সব কিছু হয়নি।’’
কল্যাণের আরও অভিযোগ, ‘‘নড্ডার কনভয়ে ছিল বহু বাইক ও গাড়ি। সেখানে রাকেশ সিংহের মতো ক্রিমিনাল নিয়ে নড্ডা এখানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। একে তো নিয়ম মানেননি। কতগুলো গাড়ি থাকবে তার নম্বর প্রশাসনকে দেওয়া হয়নি। তার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: নড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৭ জনের পুলিশ হেফাজত
ফলে রাকেশের প্ররোচনায় যে বৃহস্পতিবার শিরাকোল ও দোস্তিপুরে অশান্তি শুরু হয়, সেদিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত করেন কল্যাণ। ইতিমধ্যেই গতকালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। যার মধ্যে উস্তি ও ফলতা থানাও রয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে।