জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ফাইল চিত্র।
যেখানে মানুষ ভোট দিতে ‘বাধা’ পেয়েছেন, সেখানে তাঁদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটের বিশ্লেষণের পরে কর্মীদের এই বার্তাই দিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারা রাজ্যেই তৃণমূলের ভোট বেড়েছে। সেই ধারাতেই শেষ বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় পঞ্চায়েতে উত্তর ২৪ পরগনায় তাদের ভোট ৪৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে।
এই বৃদ্ধিকে দলের অন্দরে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে চিহ্নিত করেছেন জেলা নেতৃত্ব! দলীয় সূত্রের খবর, জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে রবিবার এই প্রসঙ্গ তোলেন জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা বিধায়ক রথীন ঘোষ। তাঁর বক্তব্য ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ বহু জায়গায় ভোট দিতে পারেননি। পরবর্তী নির্বাচনে তার ‘নেতিবাচক’ প্রভাব পড়তে পারে। এই প্রসঙ্গেই দু’বছরে দলের ২২ শতাংশ ভোটবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেই সূত্র ধরেই জেলা সভাপতি ও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিক মানুষের কাছে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে ওই কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের যে সব জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে গা-জোয়ারির অভিযোগ উঠেছে, সেখানে হিংসাও হয়েছে। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনায় পঞ্চায়েত ভোটের দিনের ঘটনাবলি ছাড়া ধারাবাহিক হিংসার ঘটনা নজরে আসেনি। তার পরেও দলীয় নেতৃত্বের এই মূল্যায়ন তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে রাজ্যের অন্যত্র যেখানে পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের বাধা পাওয়ার বা ভোটদানের সুযোগই না পাওয়ার অভিযোগ আছে, সেখানেও শাসক দল একই পথে হাঁটবে কি না, তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা তৃণমূল সূত্রে পাওয়া যায়নি। জেলার সাংসদ, বিধায়কেরা এ দিনের সভায় ছিলেন। সেখানেই লোকসভা ভোটের আগে করণীয় ব্যাখ্যা করেন সৌগত রায়।