Cash Recovery Case

আপত্তি টিকল না! ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি পদে শপথ নিলেন নোট-বিতর্কে জড়িয়ে পড়া বিচারপতি বর্মা

শীর্ষ আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০ এবং ২৪ মার্চের বৈঠকে বিচারপতি বর্মাকে দিল্লি হাই কোর্ট থেকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। ২০ মার্চ তাঁকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবই গৃহীত হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০১
Share:
Justice Yashwant Varma takes oath as judge of Allahabad High Court

ইলাহাবাদ হাই কোর্টে বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। —ফাইল চিত্র।

ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। এত দিন তিনি দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতির দায়িত্ব সামলাছেন। তবে দিন কয়েক আগে দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে তাড়া তাড়া নগদ উদ্ধার হওয়ার পরই বিতর্কে জড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। সেই আবহেই সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি বর্মাকে দিল্লি থেকে সরিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

Advertisement

শনিবার বিচারপতি হিসাবে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে শপথগ্রহণ করলেন বিচারপতি বর্মা। সাধারণত বিচারপতিদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয় জাঁকজমকপূর্ণ। তবে বিচারপতি বর্মা শপথ নিলেন তাঁর চেম্বারে একেবারেই ব্যক্তিগত পরিসরে।

হোলির দিন বিচারপতি বর্মার বাংলোয় আগুন লাগে। খবর দেওয়া দমকলকে। সেই সময়ই তাঁর বাংলো থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার করে দমকলবাহিনী। যদিও বিচারপতি বর্মা অবশ্য জানিয়েছেন, টাকা কোথা থেকে এসেছে, তা তিনি জানেন না। যে ঘরে তা পাওয়া গিয়েছে, সেখানে বাইরের লোকজনের যাতায়াত আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দিল্লি হাই কোর্টে তাঁকে বিচারের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য তিন বিচারপতির কমিটি গঠন করে। বর্তমানে এই কমিটি ‘নগদকাণ্ডে’র অনুসন্ধান করছে।

Advertisement

এই আবহেই বিচারপতি বর্মার বদলির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, ‘নগদকাণ্ডে’র সঙ্গে বিচারপতি বর্মার বদলির কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর বদলি সংক্রান্ত বিষয় অনেক দিন ধরেই আলোচনায় ছিল। শীর্ষ আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০ এবং ২৪ মার্চের বৈঠকে বিচারপতি বর্মাকে দিল্লি হাই কোর্ট থেকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। ২০ মার্চ কলেজিয়ামের সদস্য তথা বিচারপতি বর্মাকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবই গৃহীত হয়। ২৮ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সবুজ সঙ্কেত মেলে।

বিচারপতি বর্মার বদলির সিদ্ধান্তে খুশি নয় ইলাহাবাদ হাই কোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। এমনকি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নারও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তবে আইনজীবীদের আপত্তির মধ্যেই ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতির দায়িত্বগ্রহণ করলেন বিচারপতি বর্মা।

বিচারপতি বর্মার জন্ম ১৯৬৯ সালে। মধ্যপ্রদেশের রেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯২ সাল থেকে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। একটা সময় ইলাহাবাদ হাই কোর্টে বিশেষ আইনজীবীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৩ সালে তাঁকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে মনোনীত করা হয়। ২০১৪ সালের অক্টোবরে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থায়ী বিচারপতি হন। পরে তাঁকে দিল্লি হাই কোর্টে পাঠানো হয়। ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement