Municipality Scam Case

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি সিন্‌হা, পুরসভা মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য

পুরসভায় নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। এই মামলার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ১৩:১৯
Share:

পুরসভায় নিয়োগ মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল। ফাইল চিত্র।

পুরসভায় নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। এই মামলার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার বেঞ্চ পরিবর্তিত হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে মামলা সরে যায় বিচারপতি সিন্‌হার বেঞ্চে। নতুন বেঞ্চে মামলা যাওয়ার পর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয় উচ্চ আদালতে। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার।

Advertisement

বিচারপতি সিন্‌হা রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি এই মামলায় পূর্ববর্তী নির্দেশই বহাল রেখেছেন। অর্থাৎ, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই।

পুর মামলায় পূর্ববর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির বিচারাধীন বিষয় নয়। তবে তিনি কী ভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন? হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ঠিক করেন কোন বিচারপতি কোন মামলার বিচার করবেন। ওই বেঞ্চে পুরসভার মামলা নেই। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই ওই বেঞ্চের।” তাঁর সংযোজন ছিল, “আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। সাধারণত কোনও ঘটনা ঘটলে তা রাজ্যের পুলিশ তদন্ত করে। খুবই কম ঘটনায় অন্য সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে রাজ্যকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই ইডির আবেদন কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়।”

Advertisement

এ বিষয়ে মূল মামলকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতি মিশে রয়েছে। কারণ, এখানে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার সেই মামলারই রায় দিলেন বিচারপতি সিন্‌হা। রাজ্যের কাছে এটি একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement