কুকি জঙ্গিদের হাতে এক পুলিশ কর্মী খুনের অভিযোগ উঠল। তিন মেইতেইকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছে। — ফাইল ছবি।
মণিপুরে হিংসা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে। ১৬টি জেলার মধ্যে ১১টিতে কার্ফু প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যেই কুকি জঙ্গিদের হাতে এক পুলিশ কর্মী খুনের অভিযোগ উঠল। তিন মেইতেইকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় পুলিশের উপর হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। পাঁচ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এইচ জিতেন নামে এক কনস্টেবল মারা গিয়েছেন। বুধবার ইম্ফলে অজ্ঞাতপরিচয়দের গুলিতে আহত হয়েছেন এক অসম রাইফেলস জওয়ান।
মণিপুরের টোরবাংলার চুরাচাঁদপুরে তিন জনকে অপহরণ করা হয়েছে। ৩ মে মণিপুরে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। তার জেরে চুরাচাঁদপুরে একটি ধানের গোলা পুড়ে গিয়েছিল। সেই গোলা থেকে ধান বার করতে গিয়েছিলেন মেইতেই জনজাতির তিন জন এবং এক জওয়ান। জঙ্গিদের আসতে দেখে সীমান্তরক্ষীবাহিনীকে খবর দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই জওয়ান। তখনই তাঁকে ছুরির আঘাত করে তিন জনকে অপহরণ করা হয়। অপহৃতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মণিপুরের সংবেদনশীল এলাকায় এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব থেকে বেশি ঝামেলা হয়েছে ইম্ফলে। সেই পশ্চিম ইম্ফলে কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। তবে ১৩ মে পর্যন্ত রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এখন পর্যন্ত মণিপুরে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন প্রায় ৬৮ জন। ঘরছাড়া ৪৫ হাজার জন। গত ৩ মে মেইতেইদের জন্য তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি চেয়ে ১০টি পার্বত্য জেলায় মিছিল বার হয়েছিল। বিরোধিতা করে অন্য জনজাতিরা। দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর।