আরজি কর-কাণ্ডে বিক্ষোভ। —ফাইল ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মঙ্গলবার পাশ হওয়া অপরাজিতা বিলকে ‘জনপ্রিয়তা অর্জনের (পপুলারাইজ়) ধাপ্পাবাজি’ বললেন আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার আরজি কর-কাণ্ডের মামলাটির শুনানি না হওয়ার সিদ্ধান্তেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তাঁরা।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ পাশ হয়েছে। তা যাতে দ্রুত আইনে পরিণত হয়, সে কথা মাথায় রেখেই বিলটি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় দোষীর দ্রুত বিচার এবং কঠোর সাজার ব্যবস্থা ওই বিলে রয়েছে বলে রাজ্যের দাবি। কিন্তু বুধবার আরজি করের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘‘আমরা খুশি নই।’’
পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর-কাণ্ডের মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁদের মন্তব্য— ‘‘আমরা বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছি না।’’ এ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান বৃহস্পতিবার আবার সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করা হবে বলে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বসবে না। ওই বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র আলাদা করে ১০ নম্বর কোর্টের কিছু মামলা শুনবেন। কিন্তু কোন কোন মামলা তাঁরা শুনবেন, তা তখনও স্পষ্ট ছিল না। ফলে আরজি করের শুনানি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
এর পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১০ নম্বর কোর্টের মামলার নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। জুনিয়র চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে লালবাজারের অদূরে রাতভর অবস্থান-বিক্ষোভ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল ৫ সেপ্টেম্বর। শীর্ষ আদালতের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। কিন্তু প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ না বসায় শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।