ফাইল চিত্র।
সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ উঠল নদিয়ার কল্যাণীর কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে। শনিবার সকালে বিষয়টি সামনে আসে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ দেখালেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের একাংশ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, কে বা কারা কলেজের অডিটোরিয়ামে শৌচাগারের লোহার রড খুলে ভিতরে ঢোকে। তার পরে শৌচাগারে ভাঙচুর চালায়। অডিটোরিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। ওই ঘটনার পরে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ আনেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জানান, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। তবেই তাঁরা বিক্ষোভ তুলবেন।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিক্ষোভ ওঠেনি। তবে এর জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হয়নি বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি। তাঁরা জানান, কিছু দিন আগেও চিকিৎসারত এক জন হাউজ স্টাফ ও এক জন সিনিয়র রেসিডেন্টকে রোগীর সঙ্গে আসা লোকজন ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকে মারধর করেন। সে বারও নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ এনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিলেন তাঁরা। তখন নিরাপত্তার বিষয়টির উপরে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আশ্বাস মিলেছিল। তার পরে ফের এই ঘটনা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে গলদ রয়েছে, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সিকিউরিটি এজেন্সি কোনও রকম কাজ করছে না। গতকাল এই ঘটনার কথা নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন। তবে কবে তা ঘটেছে, তাঁরা জানেনই না। যাঁরা আছেন তাঁরা
কেউ কাজ করছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।”
উপাচার্য সুহৃতা পাল ছুটিতে রয়েছেন। রেজিস্ট্রার ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত ফোন না ধরায় এ ব্যাপারে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।