R Ahmed Dental College and Hospital

ডেন্টাল কলেজের হস্টেলে মহিলা চিকিৎসকের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ

সুইসাইড নোট থেকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই মহিলা চিকিৎসক প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ১৭:০৫
Share:

মানসী মণ্ডল।

হস্টেলের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল দ্বিতীয় বর্ষের পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি) ছাত্রীকে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, আত্মহত্যা করেছেন ২৬ বছরের ওই চিকিৎসক। তাঁর ঘরে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। যদিও তা থেকে স্পষ্ট নয়, কেন আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মৌলালির রফি আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পায় এন্টালি থানার পুলিশ। ছাত্রীদের হস্টেলে ওই চিকিৎসকের ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। দেখা যায় নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন মানসী মণ্ডল নামে ওই চিকিৎসক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালেও তিনি ফোনে কথা বলেছেন সহপাঠীদের সঙ্গে। সকাল সওয়া ন’টা নাগাদ তিনি এক সহপাঠীকে বলেন, তাঁর কলেজ যেতে দেরি হবে। তিনি সামান্য অসুস্থ বোধ করছেন। ওষুধ খেয়েছেন। সামান্য বিশ্রাম নিয়ে তার পর তিনি কলেজে যাবেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত তিনি কলেজে না যাওয়ায় সন্দেহ হয় ক্লাসের বাকি পড়ুয়াদের। তাঁরা ফোন করতে থাকেন। কিন্তু ফোন বেজে যায়। কোনও সাড়া না পেয়ে পড়ুয়ারা তাঁর ঘরের সামনে হাজির হন। দেখা যায়, ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। বার বার ডাকার পরও কোনও সাড়া না পেয়ে হস্টেল সুপারকে জানান বাকি পড়ুয়ারা। তিনি নিজে এসে ডাকেন। তার পরেও কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি এন্টালি থানায় খবর দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে ফিরল কড়া লকডাউন, বিনা প্রয়োজনে বেরলেই ধরপাকড় চলছে কলকাতায়

পুলিশকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মানসীর বাড়ি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে। তিনি বিবাহিত। হস্টেলের ওই ঘরে তিন জন থাকেন। এক জন ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছেন। অন্য জন এ দিন সকালে হাসপাতালের ডিউটিতে গিয়েছিলেন। ঘরে একাই ছিলেন মানসী। তবে তাঁর শিক্ষক বা সহপাঠীরা পুলিশকে এমন কোনও তথ্য দিতে পারেননি যা থেকে বোঝা যায় কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন।

আরও পড়ুন: স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রীকে দায়ী করে মারধর, চুল কেটে দিলেন প্রতিবেশীরা

সুইসাইড নোট থেকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই মহিলা চিকিৎসক প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলেন। পরিবার এবং পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য অনেক বিষয়েই তিনি চাপে ছিলেন বলে পুলিশের ধারণা। মানসীর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement