রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোট খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে। একে ‘মডেল’ বা আদর্শ করে সামনের পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তিনি বলেন, ‘‘আমি খুব আনন্দিত যে, যাদবপুরের ভোট খুব শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ভোটের উদাহরণ তৈরি করেছে যাদবপুর। আচার্য হিসেবে আমি খুব গর্বিত।’’
ঘটনাচক্রে এ দিনই রাজভবনের চিঠি পেয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার আসন্ন নির্বাচন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যপাল তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন। কাল, বৃহস্পতিবার রাজভবনে সেই বৈঠক হওয়ার কথা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে তাঁর সাম্প্রতিক বৈঠকের কথাও এ দিন রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তোলেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে, তা তিনি সংবাদমাধ্যমে জানাবেন না। ধনখড় শুধু এটুকু জানিয়েছেন যে, সমালোচনামূলক পদক্ষেপ নয়, মুখ্যমন্ত্রী এবং তিনি রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সদর্থক পদক্ষেপ করছেন।
আরও পড়ুন: শান্তির সমাবর্তনেও কটাক্ষ রাজ্যপালের
যাদবপুরের ছাত্রভোট নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য ঘিরে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। ধনখড়ের এ দিনের বক্তব্য সমর্থন করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যাদবপুরের ছাত্রভোটে হিংসা হয়নি, খুব ভাল কথা। বাংলার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল যা বলার বলেছেন। তবে হিংসার ভোট না-হলে তৃণমূলের কী অবস্থা হয়, যাদবপুরের ভোটই তা বুঝিয়ে দিল!’’
এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যেমন মহামতি রাজ্যপাল, তেমনই তাঁর চেলা! কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোট কখনও গণতন্ত্রের মডেল হতে পারে না। দিলীপবাবু রাজনীতির অ-আ-ক-খ জানেন না। জানলে বুঝতে পারতেন, যাদবপুর বরাবরই বামেদের আধিপত্য। কংগ্রেসের সময়েও তা-ই ছিল। এ বার ভোটে লড়ে যদি কিছু আসন পায়, তা হলে সেটা পজিটিভ দিক। লড়লে যাদবপুরে তৃণমূল যে আসন পেতে পারে, সেটা এ বারের ছাত্রভোটে বোঝা গিয়েছে।’’