JU Row Protest

যাদবপুরের ‘নৈরাজ্য’কে ‘ধিক্কার’ জানিয়ে পথে শুভেন্দুরা, বামেদের ‘নাগরিক মিছিলে’র নিশানায় ব্রাত্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় না হেঁটে টালিগঞ্জ থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। বাম সমর্থিত মিছিল হল দু’ভাগে। ধর্মতলা এবং হাজরা মোড় থেকে রাণুছায়া মঞ্চ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫ ২১:২০
Share:
(বাঁ দিকে) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নৈরাজ্যে’র অভিযোগ তুলে মিছিল বিজেপির। আরজি কর এবং যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে পথে বামেরা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নৈরাজ্যে’র অভিযোগ তুলে মিছিল বিজেপির। আরজি কর এবং যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে পথে বামেরা (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

যাদবপুরকাণ্ড ঘিরে রবিবারও জোড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখল কলকাতা। এক দিকে বিজেপির ‘ধিক্কার মিছিল’। যার পুরোভাগে হাঁটলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্য দিকে বামেদের সমর্থনে ‘নাগরিক মিছিল’। যেখানে পা মেলালেন রাজ্য সিপিএমের শীর্ষনেতারা। বিজেপির মিছিল ছিল শুধুই যাদবপুরের ঘটনা-কেন্দ্রিক। তবে বাম সমর্থিত ‘অভয়া মঞ্চের’ মিছিলে ছিল আরজি কর-কাণ্ড এবং যাদবপুরকাণ্ডের যৌথ প্রতিবাদ।

Advertisement

বিজেপি যুব মোর্চাকে প্রথমে এই ‘ধিক্কার মিছিল’ করার অনুমতি পুলিশ দেয়নি। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে যুব মোর্চা মিছিলের অনুমতি পায়। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় আপাতত কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন না করার নির্দেশ দেয় আদালত। মাইক ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় না হেঁটে টালিগঞ্জ থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয়ে ১টা ২০ নাগাদ বিজেপির ‘ধিক্কার মিছিল’ শেষ হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সে মিছিলও থানার শ’খানেক মিটার দূরেই শেষ করে দেওয়া হয়।

শুভেন্দুর পাশাপাশি মিছিলে ছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপি সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য। তৃণমূল এবং বামেরা মিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্য তৈরি করে রেখেছে বলে অভিযোগ করে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা এবং যুব মোর্চা সভাপতি।

Advertisement

অন্য দিকে, বাম সমর্থিত মিছিলে স্লোগান ছিল, ‘বাংলার মেয়ে অভয়ার হত্যার সাত মাস/ মন্ত্রীর গাড়ির চাকায় শিক্ষার সর্বনাশ’। রবিবারই আরজি কর-কাণ্ডের সাত মাস হয়েছে। সেই উপলক্ষেই ‘অভয়া মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন মিছিলের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির হামলার ঘটনা ঘটে। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি পড়ুয়াদের চাকায় পিষে বেরিয়ে গিয়েছে বলে ছাত্র সংগঠনগুলি পাল্টা অভিযোগ করে। সেই অভিযোগকে ‘অভয়া মঞ্চে’র মিছিলের অন্যতম বিষয় করে নেওয়া হয়।

সিপিএম নেতৃত্ব দলের নেতা-কর্মীদের এই মিছিলে পতাকা ছাড়া শামিল হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে সিপিএমের কর্মীরা তো বটেই, মহম্মদ সেলিম, রবীন দেব, শমীক লাহিড়ী-র মতো সামনের সারির নেতারাও মিছিলে পা মেলান। বামসমর্থিত এই মিছিল দু’টি ভাগে এগোয়। একটি অংশ ধর্মতলা থেকে, অন্য অংশ হাজরা মোড় থেকে রওনা হয়। দু’টি অংশই মিলিত হয় রাণুছায়া মঞ্চে। সেখানেই কর্মসূচি শেষ করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement