চা চক্রে জেপি নডডা। নিজস্ব চিত্র।
চা চক্রের মাধ্যমে বাংলার জনতার আরও কাছে পৌঁছতে চাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। বুধবার সকালে খড়্গপুরের হরিয়াতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাদকি গ্রামে আয়োজিত চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিতকুমার দাস।
খড়্গপুরের একটি লজ থেকে সকাল ৯টা নাগাদ তিনি চা চক্রে এসে যোগ দেন। চা-চক্র আয়োজনের জন্য দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘‘চা চক্রের মাধ্যমে এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার যে উদ্যোগ দিলীপ ঘোষ নিয়েছেন, তা আমার খুব ভাল লেগেছে। এটা চালিয়ে যেতে হবে। কাল রাতে আমি চা চক্রের কথা জানতে পেরেই দিলীপকে যাওয়ার কথা বলেছিলাম।’’ জানা গিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ধাদকি গ্রামে চা চক্রে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করার পর রাত ১২টায় অনুমতি দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
ধাদকি গ্রামের চা চক্র অনুষ্ঠান থেকেই তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি। ধাদকি গ্রাম পঞ্চায়েত গত নির্বাচনে জিতেছিল বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ তুলে নড্ডা বলেছেন, ‘‘মা, মাটি, মানুষের নাম করে জিতে পিসি-ভাইপো তোলাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার কাড়ছে। মনোনয়নও জমা দিতে বাধা দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।’’ এই অভিযোগের পরই বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতি বেশি দিন চলবে না। ভোট আসছে। আপনাদের উৎসাহ দেখে আমি বুঝতে পারছি মমতা যাচ্ছে, পদ্ম আসছে।’’
নিজের বক্তৃতার মধ্যেই চা চক্রে উপস্থিত স্থানীয়দের সঙ্গে ‘মিশে যেতে’ হিন্দি ছেড়ে বাংলা বলার চেষ্টা করেছেন নড্ডা। জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘‘চাল চোর কে? ত্রিপল চোর কে? বালি চোর কে?’’ এই প্রশ্ন ছুড়তেই জনতার থেকে উত্তর এসেছে ‘তৃণমূল’। তা লুফে নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমি নয়। আপনারাই বলছেন চোর কে। আমি বলছি, পদ্ম ছাড়া রাস্তা নেই। উন্নয়ন কিছু হলে তা পদ্মের মাধ্যমেই হবে।’’ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা সেখানকার মানুষ ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না জিজ্ঞাসা করে বলেছেন, ‘‘বিজেপি এলে মোদী সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে আর বঞ্চিত থাকতে হবে না বাংলার মানুষকে। মোদী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন। তাই তৃণমূলের এত রাগ।’’ এর পরই তাঁর আহ্বান, ‘‘দিদিকে আলবিদা করার সময় এসেছে। আপনারা তৈরি হন।’’