State News

নাম বদলে ভারতে নাশকতার ছক, ৬ রাজ্যে নজর জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের

সোমবার দিল্লিতে এনআইএ-র ডিজি যোগেশ চন্দর মোদী একটি বিশেষ বৈঠকে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজ্যের অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড (এটিএস) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর প্রধানদের এ বিষয়ে সতর্কও করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ২০:০৭
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

ভারতে জাল বিস্তারের নানা ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গি সংগঠন। ধরপাকড়ের পাশাপাশি ‘টেরর ফান্ডিং’ বন্ধে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনআইএ)-র কড়া পদক্ষেপের জেরে অনেকটাই কোমর ভেঙে গিয়েছে বাংলাদেশি এই জেহাদি সংগঠনের। ফলে নতুন নাম নিয়ে ফের তারা ভারতে থাবা বসাতে চাইছে। জঙ্গিদের নজরে এখন রয়েছে কর্নাটক, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কেরল, বিহারের মতো রাজ্যগুলি।

Advertisement

সোমবার দিল্লিতে এনআইএ-র ডিজি যোগেশ চন্দর মোদী একটি বিশেষ বৈঠকে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজ্যের অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড (এটিএস) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর প্রধানদের এ বিষয়ে সতর্কও করেছেন। খাগড়াগড়-কাণ্ড এবং বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের ঘটনার পর জেএমবি কী ভাবে ভারতে জাল বিস্তার করেছে, তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি, এনআইএ-র অভিযানে একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়ছে। ফলে নতুন পন্থায় কী ভাবে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি নেতারা। ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘আমির’ (প্রধান) আইএস ঘনিষ্ঠ সালাউদ্দিন সালেহিন এখনও অধরা। তার খোঁজে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ এবং বিভিন্ন রাজ্যের এজেন্সি। কওসর গ্রেফতার হওয়ার পর জেএমবি-র আল-কায়দা ঘনিষ্ঠ শাখার প্রধান বড় ভাই ওরফে সালাউদ্দিনকে ভারতের সংগঠনের ‘আমির’ বা প্রধান হিসাবে ঘোষণা করা হয়ে বলে সূত্রের খবর।

সম্প্রতি জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ নেতা মহম্মদ ইজাজ ওরফে ইজাজ আহমেদকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ২০০৮ সাল থেকে ইজাজ জেএমবির সদস্য। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ৭৬ লক্ষ টাকার সোনা পাচারের আগেই ভুবনেশ্বরগামী বাসে ধৃত যাত্রী

আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড: মুখোমুখি জেরার সময়ে ঝগড়ায় জড়াল সৌভিক

এ রাজ্যে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে বিজেপি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস ভূমিকা নিয়ে দুষে চলেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর অমিত শাহ বাংলাদেশি জেহাদিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সূত্রের খবর, এ দিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও ‘টেরর ফান্ডিং’-সহ জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। জঙ্গি কার্যকলাপে লাগাম টানতে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement