প্রতীকী ছবি।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণে পর পুলিশের নজর এড়াতে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল তারা। সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। সেই নিষ্ক্রিয় সদস্যদের সক্রিয় করে সংগঠনকে ফের চাঙ্গা করতে শুরু করেছিল ‘জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’-এর (জেএমবি) শীর্ষ নেতৃত্ব। পুরনো সদস্যদের সঙ্গে এ রাজ্যের সংগঠনের শীর্ষ নেতারা এক বছর আগে যোগাযোগ শুরু করেছিল। জেএমবি চাঁই মহম্মদ ইজাজ, আব্দুল বারি, মহম্মদ কাশেম-সহ একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করে এই তথ্য মিলেছে বলে গোয়ন্দাদের দাবি।
গোয়েন্দারা জানান, খাগড়াগড় এবং বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের পরে একাধিক জেএমবি নেতা গ্রেফতার হয়। কেউ কেউ রাজ্য ছেড়ে পালায়। ইজাজ গত বছরের শেষ দিকে এ রাজ্যের দায়িত্বে পেয়ে নিষ্ক্রিয় সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। তাকে সাহায্য করছিল আব্দুল বারি এবং মহম্মদ কাশেম। আব্দুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল উত্তর দিনাজপুর মডিউলের এবং কাশেম দেখভাল করত বেলডাঙা- মুর্শিদাবাদ মডিউলের। ওই দু’জনই জেএমবি-র পুরনো সদস্য। তাদের সঙ্গে জেএমবির চাঁই মৌলানা ইউসুফ, হাতকাটা নাসিরুল্লা এবং ইজাজের সঙ্গে সখ্যতা ছিল। ইমাম হওয়ায় বারি উত্তর দিনাজপুর এবং লালগোলার বিভিন্ন মাদ্রাসায় যাতায়াত করত। সাইবার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাশেম অ্যাপ বা চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত।